কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: সচেতনতা প্রচারই সার। সরকারি নিষেধাজ্ঞাও হেলায় অমান্য করে অবিবেচকের মতো কাজ চলছেই। তারই এক নিদর্শন মিলল রাজারহাট এলাকার নারায়ণপুরে। সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়িতে থাকতে না দেওয়ার ফতোয়া জারি করলেন এলাকার মানুষজন। এই নিয়ে মঙ্গলবার রাতেই ধুন্ধুমার বেঁধে গেল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জনসাধারণকে বোঝান বিধাননগরের ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। ওই স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও আশ্বাস দেন তিনি।
বিধাননগর পুরনিগমের অন্তর্গত রাজারহাটের নারায়ণপুর এলাকার মনিখোলা। সেখানেই মঙ্গলবার রাতে ঘটে গেল অপ্রীতিকর ঘটনা। স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা যেহেতু হাসপাতালে কাজ করেন, তাই তাঁদের থেকে এলাকায় করোনা সংক্রমণ হতে পারে, এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে তাঁদের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান কয়েকজন এলাকাবাসী। এমনকী পাথরও ছোঁড়া হয়। কয়েকজন ছোঁড়েন কয়েকজন বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে ওই এলাকায় যান নারায়ণপুর থানার পুলিশ কর্মীরা। বিক্ষোভ সামাল দিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের জের, ইডেন বিল্ডিংয়ের পর মেডিক্যালে বন্ধ আরও দুই ওয়ার্ড]
ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিধাননগর পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। তিনি সাধারণ মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি, ওই স্বাস্থ্য়কর্মীদের নিরাপত্তার ও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনা এখানেই প্রথম নয়। দেশজুড়েই এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষজনকে নানাভাবে হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে। সে চিকিৎসকই হোন বা নার্স অথবা অন্য কোনওভাবে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের কিছুটা একঘরে করে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে সমাজের একাংশের মানুষের মধ্যে। সরকারের এ নিয়ে নির্দিষ্ট নিয়মকানুন থাকলেও, তার তোয়াক্কা করছেন না অনকেই। শুধুমাত্র করোনা সম্পর্কে অসচেতনতাই কি এর কারণ? এর উত্তর খোঁজার সময় এসেছে।