Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাজ্যের দশ শিল্পের হাল ফেরাবে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত ‘কান্ডারি’

মুর্শিদাবাদের জরি, উত্তরবঙ্গের বাঁশজাত শিল্পকেও তুলে ধরতে আনা হয়েছে এসএলপি-র আওতায়৷

Mamata Banerjee launches Kandari to boost small scale industry of west bengal
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 14, 2016 9:53 am
  • Updated:June 14, 2016 9:53 am

তরুণকান্তি দাস: রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পক্ষেত্রগুলিকে অক্সিজেন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল আগেই৷ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই দশটি বিশেষ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে আগামী পাঁচ বছরের রোড ম্যাপ তৈরি করে কাজে নামতে চলেছে সরকার৷ খসড়া প্রস্তুত৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দেখছেন বিষয়টি৷ সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মাস দেড়েকের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে৷ এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে কান্ডারি৷ যা মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত বলেই দফতর সূত্রে খবর৷ এই বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করছে কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম-জোকা)৷

দফতর সূত্রে খবর, সমীক্ষা করেই বিশেষ ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ একসময় এই সমস্ত শিল্পের উৎকর্ষতায় শিখরে ছিল বাংলা৷ নতুন কিছু ক্ষেত্রের পাশাপাশি এই বিষয়গুলিকেও রাখা হয়েছে তালিকায়৷ ক্ষমতায় এসেই যেমন মসলিন, আতর, তাঁত-সহ বেশ কিছু ক্ষেত্রের পুনরুজ্জীবনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, বিশ্ববাংলার স্টলে বিপণনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তেমনই ভাবনা মাথায় রেখে হাঁটছে সরকার৷ স্পেশাল লিডারশিপ প্রোগ্রামের(এসএলপি) মধ্যে দশটি ক্ষেত্রকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ নাম দেওয়া হয়েছে কান্ডারি-এসএলপি৷

Advertisement

ভোটের সময় যখন নির্বাচনী বিধি লাগু ছিল, তখন বসে না থেকে সমীক্ষার কাজটি সেরে ফেলা হয়েছেল৷ কোন জেলায় কোন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের কী হাল, তার অন্ধকারাচ্ছন্ন বর্তমানকে কী করে আলোকিত ভবিষ্যতে তুলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব তা ঘিরে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়৷ তারপর এসএলপি-র আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়৷ চর্ম, জরি, সিল্ক, অলঙ্কারের নকশা, ফুড প্যাকেজিং ও প্যাকেজড ফুড, বাঁশজাত পণ্য, ফর্জিং-সহ দশটি ক্ষেত্রকে অক্সিজেন জোগাতে কী ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার? খসড়া প্রস্তাব বলছে, জেলাভিত্তিক ধুঁকতে থাকা, লুপ্তপ্রায় অথচ সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলিকে চিহিত করে সেখানে যে শিল্প বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে তার ক্লাস্টার করা হবে৷ যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বানতলায় লেদার কমপ্লেক্স রয়েছে, তার আশপাশেই চর্মজ শিল্পকে আরও উন্নত করতে উদ্যোগী হবে রাজ্য৷ তবে এই পরিকল্পনা রূপায়ণে সবক্ষেত্রে জমি প্রয়োজন, এমনটা নয়৷ বরং প্রয়োজন অর্থ বরাদ্দ ও বিশেষ পরিকল্পনা৷ যাতে পরিকাঠামো উন্নয়ন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎপাদনের গুণমান বৃদ্ধি, তার বাজার ধরার কাজ সহজ হয়৷ কেন না সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, বিপণনের দুর্বলতায় এইসব ক্ষেত্রের শিল্পীরা পয়সা পাচ্ছেন না৷ টেক্কা দিতে পারছেন না বাজারের প্রতিযোগিতার সঙ্গে৷ ফলে টিকে থাকাই সবচেয়ে সমস্যার৷ বাংলার স্বর্ণশিল্পের কারিগরি ভারতবিখ্যাত হলেও এখানে প্রশিক্ষণ ও উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে অনেকে গুজরাত, মুম্বই পাড়ি দেন৷ সম্প্রতি সেই ধারা অনেকটাই আটকে দেওয়া গিয়েছে একের পর এক জুয়েলারি পার্ক গড়ে৷ এবার লক্ষ্য, এখানকার দক্ষতা ও উৎকর্ষ বাংলার শিল্পেই লাগানো৷

Advertisement

একইভাবে মুর্শিদাবাদের জরি, উত্তরবঙ্গের বাঁশজাত শিল্পকেও তুলে ধরতে আনা হয়েছে এসএলপি-র আওতায়৷ বাজার ধরার জন্য বিপণি খোলা, বিশ্ববাংলার স্টলে পণ্য রাখার মতো উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন্ অনলাইন বিপণন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে চুক্তি করতে চায় রাজ্য৷ উল্লেখ্য, এ বিষয়ে সরকারের পাশে থাকছে আইআইএম৷ এরা এই দশটি ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্নরকম পেশাদারি সহায়তা করবে৷ মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের থেকে তা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে৷ এখন সবুজসঙ্কেত পেলেই শুরু হয়ে যাবে কাজ৷ অপেক্ষা সম্মতির৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ