রাহুল চক্রবর্তী: আসন্ন লোকসভা ভোটে আঞ্চলিক দলগুলি নির্ণায়ক শক্তি হবে। বিজেপি ১২৫-এ থেমে যাবে। ব্রিগেডে সভাস্থল পরিদর্শনের পর হুঁশিয়ারি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির কফিনে শেষ পেরেক পোঁতার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্রিগেডে সমস্ত বিরোধী দলের নেতারা আসবেন। তাঁদের কথা শুনে আমি আমার মতামত দেব।’’ তৃণমূলনেত্রীর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ক’টা আসন পাবে, তা ভোটের পরেই বোঝা যাবে।’’
[ বাংলায় প্রচারে আসতে পারেন যোগী, রথ নিয়ে ফের নবান্নে বিজেপির আবেদন]
আর মাত্র দু’দিন। তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরগরম শহর কলকাতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ হাজির হচ্ছেন বামেরা বাদে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারাই। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, কে নেই সেই তালিকায়! একমাত্র বিএসপি যোগ দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। শুক্রবার দলের নেতা সতীশ মিশ্রকে ব্রিগেডে পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছেন মায়াবতী। স্বাভাবিক কারণে ব্রিগেড সমাবেশ ঘিরে শাসকদলের অন্দরেও সাজো সাজো বর। ব্রিগেডে সবমিলিয়ে পাঁচটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মূল মঞ্চটিই সবচেয়ে বড়। সেখানে বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে বসবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য চারটি মঞ্চের দু’টিতে থাকবেন শাসকদলের অন্য নেতা-মন্ত্রী। আর বাকি দুটিতে সাংস্কৃতিক জগতের প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার সকালে ব্রিগেডে সভাস্থল পরিদর্শন করেন পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুরসভার আধিকারিকরা। আর বিকেলে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ব্রিগেডে যান তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ব্রিগেড সমাবেশের একটি নামও দিয়েছেন তিনি। ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ব়্যালি’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ব্রিগেড সমাবেশ যোগ দিতে শুক্রবারই শহরে আসছেন অখিলেশ যাদব, শরদ পাওয়ার, দেবগৌড়া, ফারুক আবদুল্লা, স্ট্যালিন-সহ বিরোধী দলের নেতারা।’’ এদিকে, আবার ব্রিগেডের জন্য বিভিন্ন জেলা, এমনকী রাজ্য থেকে আসা সাধারণ মানুষেরও ভিড় বাড়ছে।সব ব্যবস্থা পাকা করে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। এখন শুধু সমাবেশ শুরুর অপেক্ষা।
[নার্সিং পড়ুয়াদের বিক্ষোভে ভেস্তে গেল বৈঠক, ধুন্ধুমার এনআরএসে]