স্টাফ রিপোর্টার: চিকিৎসকদের সপক্ষে আওয়াজ উঠল তৃণমূলের অন্দর থেকেই। হাকিম কন্যার পথেই হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নেন তিনি। প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলান কেপিসি মেডিক্যালের পডু়য়া আবেশ। তৃণমূল সাংসদ তথা আইএমএ-এর সর্বভারতীয় সভাপতি ডাঃ শান্তনু সেনের স্ত্রী কাকলিও দাঁড়িয়েছেন স্বামীর পাশেই। স্বামীর হয়েই কাকলি বলেছেন, “দেশের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের অনুরোধ করব নীলরতনের চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়ান।”
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় যান নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অবস্থানে শামিল হন তিনিও। এমনকী দুপুরে যখন ডাঃ কুণাল সরকাররা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন সেখানেও হাজির ছিলেন তিনি। একাধিক মিছিলেও নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে সবাইকে চমকে দিয়েছে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সাংসদ তথা আইএমএ সভাপতি ডাঃ শান্তনু সেনের স্ত্রীর দেশের সমস্ত ডাক্তারদের একজোট হওয়ার আবেদন। ডাঃ কাকলি সেন লিখেছেন, “প্রয়োজন হলে যতক্ষণ না দাবি পূরণ হচ্ছে ততক্ষণ দেশের সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রাখা হোক। ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপোষ নয়।” তবে স্ত্রীর এই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে ডাঃ শান্তনু সেনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও বির্তক শুরু হওয়ার পর কাকলি এই পোস্ট তুলে নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, প্রথমে ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ফিরহাদ কন্যা সাব্বা। মেয়ের মতামত নিয়ে বাবা পুরমন্ত্রী কিছু না বললেও, এদিন রাতে সাব্বা হাকিমের একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে মুখ খোলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ছোটদের স্বাধীনতায় আমি হস্তক্ষেপ করি না। তাদের নিজস্ব মতামত থাকতেই পারে। তবে আমার মনে হয় ও ইমোশনাল হয়ে লিখেছে।” তবে সরকার-হাসপাতাল এই টানাপোড়েনের মাঝে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে আবেশ, সাব্বা ও কাকলির ভূমিকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.