Advertisement
Advertisement

ভয়াবহ পরিস্থিতি, গুজরাটে ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের উপর হামলায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী

শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন মমতা৷

Mamata expresses concerns over Gujarat violence
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:October 9, 2018 6:54 pm
  • Updated:October 9, 2018 6:54 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুজি রুটির টানে গুজরাটে যাওয়া শ্রমিকদের উপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ, মঙ্গলবার নবান্নে দাঁড়িয়ে এই প্রথম গুজরাটে শ্রমিক হামলার ঘটনায় মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিজেপি শাসিত গুজরাটের অবস্থা ভয়ংকর বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ সঙ্গে শ্রমিক হামলার ঘটনায় তিনি ‘ভীত’ ও ‘উদ্বিগ্ন’ বলেও মন্তব্য করেন৷

[সনিকা মামলায় রেহাই পেলেন না বিক্রম, চার্জ গঠনের নির্দেশ আদালতের]

এদিন নবান্ন থেকে বেরিয়ে সংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সংক্ষিপ্ত ভাষণে গুজরাট প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘কী হচ্ছে এ সব? কোথায় সরকার? কী করছে প্রশাসন? এভাবে কি রাজ্য চলে? বিজেপি সরকার শ্রমিকদেরও নিরাপত্তা দিতে পারে না! আজ, গুজরাটের শ্রমিকরা নিরাপদ নয়৷ গোটা রাজ্যটাই ভেঙে পড়েছে৷ মোদির রাজ্যে কি না এই ঘটনা ঘটছে! আমাদের রাজ্যে কিন্তু, এই ঘটনা ঘটে না৷’’ শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘এই ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন৷ ভীত৷’’ যাঁরা রাজ্যে আসতে চান, তাঁদের চলে আসারও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী৷

Advertisement

[পুজো অনুদানে স্থগিতাদেশ বহাল হাই কোর্টের, হলফনামা পেশ রাজ্যের]

Advertisement

যে রাজ্যে সুশাসনের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, সেই রাজ্য ছাড়ার হিড়িক শ্রমিকদের মধ্যে৷ গুজরাট থেকে ‘সুশাসন’ বিদায় নিয়েছে, বিরোধীরা সে অভিযোগ করছে বেশ কিছুদিন ধরেই৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে পোস্টারও সাঁটিয়েছে বিজেপির একাংশ৷ ‘গুজরাটি মোদি বেনারস ছোড়ো’ এই স্লোগানেও উঠতে শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশে৷ সুশাসন থাকলে রুজি রুটির টানে রাজ্যে আসা শ্রমিকদের উপর কেন হামলা চালাবেন গুজরাটিরা? আর সেসব দেখে প্রশাসনই বা কেন নীরব থাকবে? প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীদের একাংশ৷

 

গুজরাটের বিভিন্ন প্রান্তে এখন স্থানীয়দের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে যাওয়া হিন্দিভাষীরা। অভিযোগ, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সবরকণ্ঠার জেলার হিম্মতনগরের কাছে ১৪ মাসের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হামলা শুরু হয়েছে। মূলত ৬টি জেলায় হিংসা ছড়িয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মেহসানা ও সবরকণ্ঠার। গান্ধীনগর, পাটান এবং আমেদাবাদেও হামলার অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার হিন্দিভাষী গুজরাট ছেড়েছে। এখনও শয়ে শয়ে মানুষ ফিরে যাচ্ছেন নিজের রাজ্যে। যদিও, প্রশাসন প্রাথমিকভাবে এই হামলার খবর স্বীকার করতে চাইছিল না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ