Advertisement
Advertisement

Breaking News

হাসপাতালে বরদাস্ত নয় দুর্ব্যবহার: মমতা

স্বাস্থ্য অধিকর্তা থেকে বিভাগীয় প্রধান সবাইকেই প্রতিদিন ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করতে হবে৷ কোথাও ফাঁকিবাজি দেখলে তা ‘রিপোর্ট’ করতে হবে৷ কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে৷

Mamata wants to develop health sector in West Bengal
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 23, 2016 8:53 am
  • Updated:June 23, 2022 7:45 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রোগী হয়রানি বন্ধ করতে হবে৷ রোগী বা তাঁর পরিবারের সঙ্গে কোনওরকম দুর্ব্যবহার করা যাবে না৷ আরও মানবিক ও নমনীয় হয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে হবে ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের৷ পরিষেবার মান পরখ করতে প্রতিদিন ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করতে হবে৷ বুধবার নবান্নে সরকারি হাসপাতালের সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করে এই কথাই জানিয়ে দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

গত পাঁচ বছরে মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছেন৷ খোলনলচে পাল্টে দিয়েছেন পরিকাঠামোর৷ তুলে দিয়েছেন ‘পেয়িং বেড’৷ সরকারি হাসপাতাল থেকে রাজ্যের মানুষ এখন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিষেবা পাচ্ছেন৷ অর্ধেক দামে ওষুধ পাচ্ছেন ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান থেকে৷ এত পরিবর্তনের পরও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রোগী-হয়রানি নিয়ে প্রচুর অভিযোগ আসছিল৷ তা সে রোগী ভর্তি করা হোক বা দালালচক্র৷ এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এসব বরদাস্ত করা হবে না৷ হাসপাতালের কোথায় কী আছে তা ‘সাইনেজ’ দিয়ে বোঝাতে হবে৷ ‘সাইনেজ’ হবে বাংলা ও স্থানীয় ভাষায়৷ রোগী ও তাঁর পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত পানীয় জল, শৌচালয় ও বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা করতে হবে৷

Advertisement

ডাক্তার দেখাতে গেলে বা কোনও পরীক্ষা করাতে গেলে রোগীদের একাংশকে এখন সরকারি হাসপাতালের গোলকধাঁধায় ঘুরে মরতে হয়৷ বেশি প্রশ্ন করলে মুখ ঝামটা শুনতে হয়৷ তার উপর রয়েছে দালালচক্র৷ বেডের সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় অনেকেই দালালদের খপ্পরে পড়েন৷ পয়সা দিয়ে কেনেন বিনামূল্যের পরিষেবা৷ এই সংস্কৃতি বন্ধ করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ জানিয়ে দিয়েছেন, ফাঁকি মারলে চলবে না৷ সর্বত্র নজরদারি চালাতে হবে৷ আচমকা পরিদর্শন না করলে সত্যিটা জানতে পারবেন না৷

Advertisement

স্বাস্থ্য অধিকর্তা থেকে বিভাগীয় প্রধান সবাইকেই প্রতিদিন ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করতে হবে৷ কোথাও ফাঁকিবাজি দেখলে তা ‘রিপোর্ট’ করতে হবে৷ কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী এদিন সুপারদের সাফ জানিয়ে দেন, “কেউ কাজ না করলে সরিয়ে দিন৷ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন৷”

এদিনের বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের সুপার, এমএসভিপিকে ডাকা হয়েছিল৷ হাজির ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা৷ স্বাস্থ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. শশী পাঁজা, মাল্টি ডিসিপ্লিনারি এক্সপার্ট গ্রুপ ও ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশন’-এর চেয়ারপার্সন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে ও স্বাস্থ্যসচিব আর এস শুক্লা৷ ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা ডা. সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. বিশ্বরঞ্জন শতপথী৷

রোগী স্বাচ্ছন্দ্যের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে পরিচ্ছন্নতা৷ মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে জোট বেঁধে পুরসভাকে কাজ করতে হবে৷ কম্প্যাক্টর মেশিন বসাতে হবে৷ এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ সচিব ওঙ্কার সিং মিনাকে পুরসভাগুলির সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন বলেও জানা গিয়েছে৷ স্বাস্থ্যসচিব জানান,  প্রতিটি হাসপাতালকে পরিকাঠামোগত ঘাটতির তালিকা প্রস্তুত করে স্বাস্থ্যভবনকে জানাতে হবে৷ ওই তালিকা নিয়ে ফের নবান্নে বৈঠক হবে৷ পরিষেবার উন্নতিতে আগামী ছ’মাসের মধ্যে ৬-৭ হাজার নার্স ও কর্মী নিয়োগ করা হবে৷ বর্ষা রাজ্যে ঢুকে পড়েছে৷ এই সময় যাতে জলবাহিত ও মশাবাহিত রোগের বাড়বাড়ন্ত না হয় সেই বিষয়টিও হাসপাতালে ব্যানার-পোস্টার করে প্রচারে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ