Advertisement
Advertisement

প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই কর্মযজ্ঞ শুরু মুখ্যমন্ত্রীর

‘পয়মন্ত’ শুক্রবার থেকে পুরোপুরি জনপরিষেবার কাজে নেমে পড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ৩ জুন কলকাতার টাউন হলে রাজ্যের প্রশাসনিক বৈঠক৷ মন্ত্রিবর্গ, সমস্ত দফতরের প্রধানসচিব, অধিকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্তারা বৈঠকে আমন্ত্রিত৷

Mamata will resume work from administrative meeting
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 30, 2016 8:49 am
  • Updated:June 22, 2022 5:17 pm

কিংশুক প্রামাণিক:  ভোট শেষ৷ মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সতীর্থদের শপথও সম্পন্ন৷ এখন শুধু কাজ৷ ‘পয়মন্ত’ শুক্রবার থেকে পুরোপুরি জনপরিষেবার কাজে নেমে পড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ৩ জুন কলকাতার টাউন হলে রাজ্যের প্রশাসনিক বৈঠক৷ মন্ত্রিবর্গ,  সমস্ত দফতরের প্রধানসচিব, অধিকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্তারা বৈঠকে আমন্ত্রিত৷

ভোটে আদর্শ আচরণবিধির জেরে গত প্রায় তিনমাস উন্নয়ন স্তব্ধ৷ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রাজ্যে৷ নির্বাচনের বজ্র আঁটুনিতে জনপরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছিল৷ তামিলনাড়ুতে যখন একদফায় ভোট, তখন বাংলায় কেন সাতদফা? এই ম্যারাথন নির্বাচনের জেরেই জনকল্যাণমূলক কাজ আটকে যায়৷ এমনকি আবশ্যিক কাজেও অনুমতি মেলেনি কখনও কখনও৷ কাঠফাটা গরমে গ্রামের খাল-বিল শুকিয়েছে৷ বর্ষা আসতে দেরি৷ জল সেচ ও পানীয়জলের জোগান এই সময় জরুরি৷ গত তিন মাস এসব কাজ হয়নি বলে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী৷

Advertisement

২০১১-তে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক শুরু করেছিলেন মমতা৷ এর সুফল পেয়েছে মানুষ৷ একশো পাঁচটা প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছে রাজ্যে পাঁচ বছরে৷ মুখ্যমন্ত্রীর কাজের স্রোতেই জন্ম নিয়েছে বহুমুখী প্রকল্প৷ যার সুফল সদ্য ভোটে পেয়েছে শাসকদল৷ এবারও একই মডেলেই এগোতে চান মুখ্যমন্ত্রী৷ তবে পরিকল্পনায় বৈচিত্র থাকবে৷

Advertisement

শুক্রবার টাউন হলের বৈঠক থেকেই তাঁর কাজ শুরু৷ ফের শুরু হবে জেলা সফরও৷ মমতার উন্নয়নের মডেল শুধু দেশে নয় বিদেশেও প্রশংসা পেয়েছে৷ কন্যাশ্রীকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো৷ এর পরও বিধানসভা ভোটে বেনজির বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তবে সবকিছু উপেক্ষা করে মানুষ দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছে তাঁকে৷

২১১ টি আসন পেয়ে রেকর্ড গড়েছে তৃণমূল৷ রাজনৈতিক মহলের মতে এই ঐতিহাসিক জয়ের প্রধান কারণই হল মমতার পরিষেবা প্রদান কেন্দ্রিক উন্নয়ন৷  মন্ত্রীদেরও তিনি কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন৷ বিধায়কদের বলেছেন,  কারও মোবাইলই যেন বন্ধ না থাকে৷ দিনের ২৪ ঘন্টাই সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে হবে৷ সামনেই বর্ষার মরশুম৷ রাজ্যের বড় অংশের মানুষ কৃষিজীবী৷ এবার ঠিক সময়ে ঠিক পরিমাণ বৃষ্টি হবে,  নাকি খরা দেখা দেবে, নাকি অতিবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হবে, এমনই নানা চিন্তা ঘুরছে মমতার মাথায়৷

শুক্রবারের বৈঠকে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে৷ কোথায় কী পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে সেই ব্যাপারেও বৈঠকে অফিসারদের থেকে খোঁজ নেবেন মমতা৷ সব ধর্মের মানুষ শুক্রবারকে শুভদিন বলে মানেন৷ ফলে দিনটিকে পয়মন্ত মনে করেন মমতাও৷ আর সেই কারণেই আগামী শুক্রবার থেকেই কাজে হাত মুখ্যমন্ত্রীর৷ মাঝের এই তিনটি দিন বিধায়কদের শপথ ও স্পিকার নির্বাচন ইত্যাদি পর্ব চলবে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ