সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে ‘ইকোনোমিক ডিজাস্টার’ চলছে বলে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বাম-কংগ্রেসের ডাকা বনধকে নীতিগত কারণে সমর্থ না জানানো হলেও ইস্যুভিত্তিক সমর্থন অটুট থাকবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷
সোমবার নবান্ন থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দেশে তেলের দাম লাফিয়ে বেড়েছে৷ গ্যাসের দামও বাড়ছে৷ শুধু কমেছে মানুষের জীবনের দাম৷ মোটের উপর সবটাই ভুল৷’’ এদিন কটাক্ষের সুরে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘কোনও ইস্যুর একমাত্র শেষ অস্ত্র হতে পারে বনধ৷ তার আগে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ হওয়া উচিত৷’’ লোকসভা নির্বাচনের আগে ফেডারেল ফ্রন্ট গঠন প্রসঙ্গেও এদিন মন্তব্য করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘আহমেদ প্যাটেল ফোন করেছিলেন৷ সম্ভবত শুক্রবার সন্ধ্যায়৷ আমি যা বলার বলে দিয়েছি৷ আমাদের সঙ্গে আগে ওরা কোনও আলোচনাই করেনি৷ তবে, আমার নৈতিক সমর্থন রয়েছে৷ কিন্তু, বনধকে আমরা কোনওভাবেই সমর্থন করতে পারি না৷’’
[ফের পুলিশের জালে দমদমের ত্রাস হাতকাটা দিলীপ]
এদিকে, কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি ও মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শহরজুড়ে পথে নামল তৃণমূল৷ মৌলালি মোড় থেকে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত তৃণমূলের এই প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ মিছিল শেষে ধর্মতলায় সভামঞ্চ থেকে একযোগে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম-সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ সভার শুরুতে এদিন অমিত শাহকে ‘মোটা’ বলেও কটাক্ষ করেছেন ফিরহাদ৷ বামেদের বনধকে মানুষ ‘বন্ধ’ করে দিয়েছে বলে সভামঞ্চ থেকে হুংকার ছোঁড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
[হিন্দু হস্টেলের দাবিতে প্রেসিডেন্সির গেটে তালা, ঢুকতেই পারলেন না উপাচার্য]
এদিন ধর্মতলা থেকে তিনি আওয়াজ তোলেন, ‘‘বাংলার মানুষ আবার প্রমাণ করে দিল যে তাঁরা বনধকে মানে না৷ বাংলার মানুষ বনধকে বন্ধ করে দিয়েছে৷ গত দু’মাস আগেও যাঁদের দূরবীন দিয়ে দেখতে হতো, তাদের ডাকা হঠাৎ বনধে কেন সাড়া দেবে মানুষ?’’ বিজেপিকে আক্রমণ করে অভিষেকের কটাক্ষ, ‘দিল্লিতে বসে কী করছে নরেন্দ্র মোদির সরকার? শুধু বিদেশ ভ্রমণ করলেই হবে? দেশের কাজে একটু মন দিন৷ আর তা না পারলে ক্ষমতা ছাড়ুন৷ বিরোধীরা বুঝে নেবে দেশ কীভাবে চালাতে হয়৷’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.