অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: হৃদয়পুরের মনুয়া কাণ্ডের ছায়া হাওড়ার ব্যাঁটরায়। প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। রতন নাথের মাথায় বেলচা দিয়ে আঘাত করে অভিযুক্ত রাজীব মণ্ডল। জেরায় রাজীব তার দোষের কথা কবুল করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। রাজীব ও রতন নাথের স্ত্রী শর্মিষ্ঠাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তবে মৃতের মেয়ের দাবি, তার বাবার সঙ্গে কখনওই রাজীবের খারাপ সম্পর্ক ছিল না।
শনিবার গভীর রাতে মারা যান রতন নাথ। শর্মিষ্ঠার মুখে স্বামীর এই অবস্থার কথা জানতে পারে পুলিশ। তবে প্রথম থেকেই তার বয়ান তদন্তকারীদের সন্দেহ ঠেকেছিল। পুলিশ এরপর রাজীব মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের দাবি ধৃত তার কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেছে। মৃতের মা মালতী নাথ জানান, তাঁর ছেলে ও বউমার দাম্পত্য কুড়ি বছরের। বাড়িতে কুকুরের ব্যবসা নিয়ে রাজীবের সঙ্গে আলাপ হয় শর্মিষ্ঠার। কুকুরদের ট্রেনারের কাজ করত রাজিব। সেই সূত্রে নাথ বাড়িতে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। বউমা এবং রাজীবের মধ্যে এই অন্য সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন মালতীদেবী। স্ত্রীর এই আচরণে ক্ষুব্ধ ছিলেন রতনও। মাঝেমধ্যে এই নিয়ে পরিবারে অশান্তি হত। অভিযোগ বহুবার বারণ করা সত্ত্বেও রাজীবের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলে শর্মিষ্ঠা। পথের কাঁটা সরাতেই রাজীবকে দিয়ে এই কাজ শর্মিষ্ঠা করায় বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। রাজীবের ঘর থেকে রক্তমাখা কিছু জিনিসপত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজীব ও শর্মিষ্ঠাকে। পুলিশ মনে করছে গোটা ঘটনা পরিকল্পনামাফিক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারার সঙ্গে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। রতনকে হত্যার জন্য বিশ্বকর্মা পুজোর প্রস্তুতির সময় কেন বেছে নেওয়া হল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
মৃতের মা এবং দিদি শর্মিষ্ঠার ভূমিকাকে কাঠগড়ায় তুললেও অন্য সুর তাদের একমাত্র সন্তানের। রতনের মেয়ের দাবি, রাজীবের সঙ্গে তাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তার বাবার সঙ্গে তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। তবে কীভাবে এই খুনের ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারছে না ওই কিশোরী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.