সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীর হাতেই খুন হয়েছেন চেতলার গৃহবধূ টুম্পা পাল। তদন্তে একপ্রকার নিশ্চিত পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে মধ্য কলকাতা থেকে মৃতার স্বামী সঞ্জয় পালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, নিজের বাড়িতে স্ত্রীকে খুন করার পর আত্মহত্যা বলে চালানো চেষ্টা করে সঞ্জয়। তবে কেন নিজের স্ত্রীকে খুন করল সে? তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। মৃতার দুই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
[ঐতিহাসিক ডুরান্ড কাপ এবার কলকাতায়, চমক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের]
চেতলা থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে আলিপুর রোডে স্বামী ও দুই ছেলের সঙ্গে থাকতেন টুম্পা পাল। বুধবার সন্ধেবেলায় বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সন্ধেবেলায় টুম্পাদেবীর দুই ছেলে তাঁদের জানান, মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শোওয়ার ঘরে বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই গৃহবধূ। ফ্যান থেকে ঝুলছে চাদর। এরপরই খবর দেওয়া চেতলা থানায়। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। একযোগে ঘটনার তদন্তে নামে চেতলা থানার পুলিশ ও লালবাজারের গোয়েন্দারা। ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছিল না টুম্পা পালের স্বামী সঞ্জীব পালের। তদন্তে জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে্ একেবারেই সুসম্পর্ক ছিল না টুম্পার। নিত্যদিনই অশান্তি লেগে থাকত।
[শহরে যৌন হেনস্তার শিকার ৬ বছরের শিশু, গ্রেপ্তার প্রতিবেশী যুবক]
মঙ্গলবার গভীর রাতে মধ্য কলকাতা থেকে মৃতার স্বামী সঞ্জীব পালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, নিজের বাড়িতেই স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছিল অভিযুক্ত। তাই পরিকল্পনামাফিকই শোওয়ার ঘরে ফ্যান থেকে চাদর ঝুলিয়ে দেয় সে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তির কথা জানতে পেরেছে পুলিশ। কিন্তু, সে কারণেই টুম্পাদেবী খুন হয়েছেন কিনা, তা নিয়ে এখনই নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা। খুনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে মৃতার ২ ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
[‘কপট’ পাত্রের ছলে লগ্নভ্রষ্টা কন্যা, তুলকালাম বিয়েবাড়িতে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.