স্টাফ রিপোর্টার: মকর সংক্রান্তিতেই কনকনে ঠান্ডাকে ড্রেসিংরুমে পাঠিয়ে দক্ষিণবঙ্গের বাইশ গজে নামার ওয়ার্ম-আপ শুরু করে দিল ঘূর্ণাবর্ত। যার জেরে বাতাসে জলীয় বাষ্প ঢুকে বাড়তে শুরু করল তাপমাত্রা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণে শীতের দাপট অনেকটাই কমবে। কুয়াশার দাপট বাড়বে উত্তরে। কলকাতার তাপমাত্রা থাকবে ১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। জেলাতেও তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ৮-৯ ডিগ্রির আশপাশে। আবহাওয়াবিদদের বার্তা, মকর সংক্রান্তি এবং মাঘের প্রথম দিন তুলনায় হালকা ঠান্ডাতেই দিন কাটবে শহরবাসীর। সাগরে অবশ্য কড়া শীতের বার্তা থাকছে।
এই মরশুমে বারবার শীতের ছন্দপতন ঘটিয়েছে পড়শি রাজ্যের ঘূর্ণাবর্ত। ডিসেম্বরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুড়ির ঘরে ঘোরাফেরা করেছে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, “ঠান্ডা বাতাসের জোগানে টান পড়ার কারণ বাংলাদেশের উপর তৈরি নতুন ঘূর্ণাবর্ত। ফল? বাতাস আগের মতো শুকনো থাকতে পারছে না। যা তাপমাত্রাকে কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি উত্তর ভারতের বাতাসে জলীয় বাষ্প ঢোকায় সেখানে ও শৈত্যপ্রবাহের পাট আপাতত চুকে যাচ্ছে। ফলে দাপট হারাবে শীত। তবে ১৪ তারিখ নাগাদ কাশ্মীরে নতুন পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢুকছে। তার হাত ধরে পাহাড়ে প্রবল তুষারপাত হলে মাঘের গায়ে বাঘের শীত নিশ্চিতভাবে দেখা দিতে পারে।
ইতিমধ্যেই উত্তুরে হাওয়ার গতি কম থাকায় গত দু’দিনে একটু একটু করে তাপমাত্রা বেড়েছে মহানগরের। শনিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৭ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের দু’ডিগ্রি কম। জেলাতেও বেড়েছে তাপমাত্রা। শহরের তাপমাত্রা বারো ঘরের কাছাকাছি উঠলেও শহরতলির বেশিরভাগ জায়গাতেই তাপমাত্রা ছিল দশের নিচে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গের সমতলে এদিনও শীতের কামড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার ছবিই চোখে পড়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.