সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেট্রোয় ফের আগুন আতঙ্ক। দমদম থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত বন্ধ পরিষেবা। ভরা অফিস টাইমে বিপাকে যাত্রীরা। তবে কবি সুভাষ থেকে দমদম যাওয়ার মেট্রো চলাচল স্বাভাবিক।
[ এনআরএস হাসপাতালে কুকুর নিধনে সাসপেন্ড অভিযুক্ত দুই নার্সিং পড়ুয়া]
শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা। দমদম থেকে কবি সুভাষগামী মেট্রো তখন সবে টালিগঞ্জ স্টেশনে ঢুকেছে। আচমকাই স্টেশনের থার্ড লাইনে আগুনের ফুলকি ও ধোঁয়া দেখতে পান যাত্রীরা। নিষেমের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি দমদম থেকে কবি সুভাষগামী লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। শেষ খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ওই রুটে মেট্রো চলাচল বন্ধই আছে। তবে উলটো পথে অর্থাৎ কবি সুভাষ থেকে দমদম পর্যন্ত মেট্রো চলছে। এদিকে সন্ধে বেলায় অফিসে টাইমে মেট্রোয় যথেষ্ট ভিড় থাকে। ফলে মেট্রো বিভ্রাটে বিপাকে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
কিন্তু থার্ড লাইনে হঠাৎ করে আগুনের ফুলকি দেখা গেল কেন? কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রামথিক তদন্তে মেট্রো কর্তৃপক্ষের অনুমান, শর্ট সার্কিটের কারণে বিপত্তি ঘটেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে মেরামতির কাজ। যতক্ষণ পর্যন্ত না মেরামতির কাজ শেষ হবে, ততক্ষণ দমদম থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে যাত্রীদের কেউ কেউ আবার বলছেন, রবীন্দ্রসদন স্টেশনেও মেট্রোর থার্ড লাইনে আগুনের ফুলকি দেখা গিয়েছিল।
গত মাসে বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটেছিল মেট্রোয়। ময়দান স্টেশনে এসি মেট্রোর কামরায় প্রবল ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। সেদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ ময়দান স্টেশনে কবি সুভাষগামী এসি মেট্রোর একটি কামরায় ধোঁয়া দেখতে পান যাত্রীরা। দেখা যায় আগুনের ফুলকিও। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। ময়দান স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে জখম হন বেশ কয়েকজন। এসি রেকের কাঁচ ভেঙেও উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকজন যাত্রীকে। ঘটনায় মেট্রোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
[ প্রয়াত হোমিওপ্যাথির ‘জাদুকর’ রামকৃষ্ণ ঘোষ মণ্ডল]