সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের মধ্যেই যৌন হেনস্তা। বারবার শিরোনামে জি ডি বিড়লা স্কুল। দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠির মোড়ে এই নামজাদা বেসরকারি স্কুলে তিন বছর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। বৃহস্পতিবার তার পুনরাবৃত্তিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা।
[ফের জি ডি বিড়লা স্কুলে শিক্ষকের লালসার শিকার দুধের শিশু]
শুক্রবার সকাল থেকে স্কুলে চলতে থাকে বিক্ষোভ। শিক্ষিকারা সদুত্তর দিতে না পারায় বিরক্তি আরও বাড়ে। অভিভাবকদের অভিযোগ, বিপুল টাকা ডোনেশন দেওয়ার পরও খোদ শিক্ষকের এমন আচরণ মানা যায় না। তাদের বক্তব্য, ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর জি ডি বিড়লার স্কুলবাসের মধ্যে এক লোয়ার নার্সারির শিশুর সঙ্গে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল স্কুল চত্বর। তখন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, এধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তা দেখা হবে। অভিভাবকরা একসুরে জানাচ্ছেন সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া হয়নি। যে শিক্ষক এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার অতীত জানা উচিত ছিল। এরপর কোন সাহসে স্কুলে বাচ্চাদের পাঠানো হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা। তাদের দাবি, তিন বছর আগে বলা হয়েছিল স্কুল চত্বরে সিসি ক্যামেরা বসবে। কিন্তু এখনও সে সব কিছু হয়নি। অধ্যক্ষ অবশ্য জানান, তাদের কাছে কোনওরকম অভিযোগ আসেনি। সংবাদমাধ্যমের থেকে তিনি বিষয়টি জেনেছেন। তবে কেউ দোষ করলে পার পাবে না। অধ্যক্ষ আরও জানান, পুলিশ অভিযুক্ত পিটি টিচারের ফোন নম্বর চেয়েছিল। তারা দিয়েছেন এবং তদন্তে সহযোগিতার জন্য সবরকমভাবে তৈরি। বিক্ষোভের খবরে বিশাল পুলিশবাহিনী স্কুলে যায়। ঘটনাস্থলে যান ডিসি সাউথ রূপেশ কুমার। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
[কলকাতার কচুরি পুলিশের হাত থেকে বাঁচিয়েছিল জঙ্গি মাহিকে]
আক্রান্ত শিশুটি শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল। তার হার্টে ফুটো আছে। বাচ্চাটি প্রিম্যাচিরও। এমন এক দুধের শিশুর উপর নির্যাতনের ঘটনায় অভিভাবকরা নিজেদের সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। জিডি বিড়লার এই ঘটনায় মনোবিদরা বলছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ সজাগ না হলে এধরনের ঘটনা ঘটতে থাকবে। তবে শাস্তিই শেষ কথা নয়। মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন।