ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্লীলতাহানির ঘটনা শহরে এখন আর নতুন নয়। কিন্তু তাই বলে ভর সন্ধেবেলায় যাদবপুরের মতো ব্যস্ততম এলাকায় একটি মেয়েকে শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণের হুমকি সত্যিই নজিরবিহীন। কিন্তু এমনটাই ঘটেছে বুধবার। এদিন কলকাতার একটি নামী স্কুলের ছাত্রী যাদবপুরের রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছিল তার বন্ধুর বাড়ির দিকে। ঠিক সেইসময় পিছন থেকে বাইক নিয়ে তাকে তাড়া করতে শুরু করে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবক। এরপরই তাকে বাগে পেয়ে ওই যুবক নিজের মনের ইচ্ছাপ্রকাশ করে মেয়েটির সামনে। বলে, ‘বেশি বাড়াবাড়ি করিস না, করলে নির্ভয়ার মতো হাল করব।’
[বুথের লড়াইকে শ্মশান পর্যন্ত নিয়ে যাব, পঞ্চায়েত ভোটের আগে হুঁশিয়ারি দিলীপের]
মেয়েটির নাম বা পরিচয় কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে গোপন রাখা হলেও, তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে একটি মেসেজ তাদের নজর কাড়ে। সেখানে নির্যাতিতা নিজের পরিচয় দিয়ে গোটা ঘটনার বর্ণনা করেছে। এরপর কলকাতা পুলিশ নিজে উদ্যোগ নিয়ে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করে এবং জানতে পারে মেয়েটি আসলে ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। পড়াশোনার সূত্রে সে কলকাতার একটি হোস্টেলে থাকে। এদিন সন্ধেবেলা সে নোটস নেওয়ার জন্য হোস্টেল থেকে বেরিয়ে পাশেই এক বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছিল। ঠিক সেইসময় একটি বাইক তাকে পিছন থেকে অনুসরণ করা শুরু করে। ঘটনাটা বুঝতে পেরে মেয়েটি আরও দ্রুত হাঁটা শুরু করে। তাতেই উত্তেজিত হয়ে ছেলেটি মেয়েটির পাশে বাইক নিয়ে এসে মেয়েটিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। আর তারপরই সেই ভয়ঙ্কর হুমকি কানে আসে মেয়েটির। কিন্তু তার বয়স অল্প হওয়ায় সে থানায় গিয়ে যোগাযোগ করতে সাহস পায়নি। পরে অবশ্য কলকাতা পুলিশের সহায়তায় সে তার ওই বন্ধুকে নিয়ে যাদবপুর থানায় গিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। যাদবপুর থানায় পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বাইক আরোহীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। আশা করা যায়, ছেলেটি যেভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছিল তাতে সে ওই এলাকারই ছেলে। সেই জন্যই আশেপাশের মানুষ সেভাবে কিছু বুঝতে পারেনি। তবে তারা আশা করছে খুব তাড়াতাড়ি এলাকার মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযুক্তকে ধরে ফেলা যাবে।
[খিদিরপুরে মেলার দোলনা থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর জখম নাবালিকা, ভরতি ICU-তে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.