Advertisement
Advertisement

Breaking News

এটিএমে দু’হাজার, বাড়ছে খুচরো সমস্যা

খুচরো সমস্যায় জেরবার আম আদমি৷

More 2000 Rs in ATM, trouble for common people
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 19, 2016 9:07 am
  • Updated:November 19, 2016 9:07 am

স্টাফ রিপোর্টার: ব্যাঙ্ক দিচ্ছে৷ কিন্তু নিচ্ছে না কেউ৷ ১০ টাকার কয়েন নিয়ে বিভ্রান্তি এবং জটিলতা চলছেই৷

অটোওয়ালা থেকে মুদি দোকান, কন্ডাক্টর থেকে ফুচকাওয়ালা, ১০ টাকার কয়েন দেখলে সবাই মুখ বাঁকাচ্ছেন৷ বলছেন, “নিয়ে কী করব? আমার থেকে তো কেউ নেবে না৷”

Advertisement

জটিলতা বেড়ে গিয়েছে এটিএম থেকে ২০০০ টাকার নোট বেরোতে শুরু করায়৷ ‘ক্যালিব্রেশন’-এর পর বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের এটিএম মেশিনে ২০০০ টাকার নোট ভরা হয়েছে৷ এতে সুবিধা দু’টি৷ অনেক টাকা মেশিনে ভরা যাচ্ছে৷ এবং প্রচুর মানুষের প্রয়োজন মিটছে৷

Advertisement

কিন্তু সমস্যা হয়েছে অন্যত্র৷ পাঁচশো টাকার নোট বাজারে এখনও না আসায় ওই ২০০০ টাকা নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী সবাই সমস্যায় পড়েছেন৷ খুচরো দিতে হিমশিম খাচ্ছেন দোকানদাররা৷ ফলে নোটের জোগান বাড়লেও ভোগান্তি যে অনুপাতে কমার কথা ছিল ততটা কমল না৷

বিশেষজ্ঞদের অনুমান, প্রচুর মানুষ ভয়ে একশো টাকার নোট বাড়িতে মজুত করে রেখেছেন৷ অর্থনীতিতে তাই একশোর নোটের একটি ‘কৃত্রিম’ অভাব তৈরি হয়েছে৷ একশোর নোটের ‘ভেলোসিটি অফ সার্কুলেশন’ কমে গিয়েছে৷ পাঁচশোর নোট এলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে৷

নোট সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকারও৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নবান্নে একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে৷ মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সমবায়, কৃষি, অর্থ, পরিবহণ, স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিবরা এদিনও বৈঠকে বসেন৷ জেলাস্তরেও জেলাশাসকদের নেতৃত্বে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে৷ নোট-বতিলের পরিপ্রেক্ষিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা সামাল দিতেই এই সিদ্ধান্ত৷ ফসল উৎপাদন থেকে পাইকারি বাজারে তার পরিবহণ, এই শৃঙ্খল বজায় রাখার জন্য এই কণ্ট্রোলরুম কাজ শুরু করছে৷ সবজি মান্ডিগুলিতে যাতে ‘কালোবাজারি’ শুরু না হয় তার জন্য শুরু হয়েছে নজরদারি৷ এদিকে, নোট-বাতিলের জেরে বিপাকে পড়েছেন চটকল শ্রমিকরা৷ অধিকাংশ শ্রমিক মাসে দু’বার নগদে বেতন পান৷ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চটকল শ্রমিকদের বেতন পিএফ অ্যাকউণ্টে জমা করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু৷ যাঁদের পিএফ নেই তাঁদের বেতন মালিকের অ্যাকাউন্টে জমা রাখা থাকবে৷ পাশাপাশি, চটকল শ্রমিকদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে যাতে সমস্যা না হয় তার জন্য ‘গ্যারান্টার’ হয়ে স্থানীয় দোকানগুলিকে ধারে জিনিসপত্র বিক্রির অনুরোধ জানাবে মালিকপক্ষ৷

সরকার, ব্যাঙ্ক, ডাকঘরের মিলিত প্রচেষ্টায় অর্থের জোগান যথেষ্টই বেড়েছে বাজারে৷ সাধারণ মানুষের হাতে টাকা এসেছে৷ কিন্তু ওই দশ টাকার কয়েন ও ২ হাজার টাকার নোটের চক্রব্যূহে বন্দি হয়ে গিয়েছে অর্থনীতি৷ এর মধ্যে রটে যায়, ২ হাজারি নোটের রং উঠছে৷ অনেকে লাইন দিয়েও টাকা না তুলে এটিএম থেকে ফিরে যান৷ যোগ্য সংগত করে ‘কালি-বিতর্ক’৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ‘নোট-এক্সচেঞ্জ’ করার পর ডান হাতের তর্জনীতে ‘ভোটের কালি’ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছি৷ শুরুও হয়েছিল কালি লাগানোর প্রক্রিয়া৷ এক ধাক্কায় কমে গিয়েছিল নোট-বদলের লাইন৷ কিন্তু, নির্বাচন কমিশন কালি লাগানোর ব্যাপারে আপত্তি তোলায় সমস্যা তৈরি হয়েছে৷ দশ টাকার কয়েনের ব্যাপারেও কড়া অবস্থান নিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন৷ ১০ টাকার কয়েন নিতেনা চওয়ায় ৩ দোকানদারের বিরু‌দ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নিল পুলিশ৷  প্রসঙ্গত, ১০ টাকার কয়েন নিয়ে গত সপ্তাহে বিভ্রান্তির শুরু৷ ১০ টাকার কয়েন জাল হচ্ছে বলে খবর রটে৷ রটে যায়, আরবিআই বাজার থেকে ১০ টাকার কয়েন তুলে নিচ্ছে৷ পরে অবশ্য আরবিআই জানিয়ে দেয়, সব খবরই ভিত্তিহীন৷ ১০ টাকার কয়েনে লেনদেন সম্পূর্ণ বৈধ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ