সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরে ফের অঙ্গপ্রতিস্থাপনের নজির। পথ দুঘর্টনায় মৃত অমিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের হার্ট, লিভার এবং কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় চার জনের শরীরে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে হৃদযন্ত্র দানের ঘটনা এই প্রথম।
দিশা দেখিয়েছিলেন দিলচাঁদ সিং। অঙ্গ প্রতিস্থাপনে ঘুম ভেঙেছিল মহানগরের৷ সেই ধারা অনুসরণ করেই একের পর এক অঙ্গ প্রতিস্থাপনে এগিয়ে এসেছে মৃতের পরিবার পরিজন। দিলচাঁদের দেহে প্রতিস্থাপিত হার্ট বাইরে থেকে এসেছিল। কিন্তু এবার শহরের যুবকই করলেন হৃদযন্ত্র দান। বাইপাসের ধারে অ্যাপোলো হাসপাতালে অঙ্গ প্রতিস্থাপনে সম্মত হলেন অমিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের লোকজন।
[ শহরের রাস্তায় শিকারের সন্ধানে ‘কেপমার গ্যাং’, তৎপর লালবাজার ]
অমিতের দু’টি কিডনি, হার্ট ও লিভার দান করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। তাঁর হার্ট পেলেন হাওড়ার অনিমা নস্কর। দু’টি কিডনির একটি পায় যাদবপুরের ষোলো বছরের সৈকত সাঁখুধা ও অন্যটি পান হলদিয়ার সন্তলাল যাদব। অমিতের লিভার প্রতিস্থাপন করা হয় মনোজ কুমার হেলার শরীরে। গতকাল মধ্যরাতে মাত্র ১৪ মিনিটে একটি কিডনিটি গ্রিন করিডরের মাধ্যমে পৌঁছে যায় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। বাকি অঙ্গগুলির গ্রহীতারা অ্যাপোলোতেই ভরতি ছিলেন।
উল্টোডাঙায় বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। চোট লেগেছিল মাথায় এবং বুকের পাঁজরে। হেলমেট না থাকায় মাথার খুলি টুকরো টুকরো হয়ে যায় অমিতবাবুর। তাঁর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর বাইপাসের ধারে বেসরকারি এক হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার তার ব্রেন ডেথ হয় বলে জানান চিকিৎসকরা। অমিতবাবুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে। তবে সচেতনতা বাড়ায় অচল তাঁর শরীরের অঙ্গ অন্যকে দানের সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের লোকেরা। মেলে গ্রহীতাও। সেইমতো অমিতের অঙ্গ অন্য চারজনের দেহে প্রতিস্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
[ ফরেনসিকে বিপ্লব, ১০টি মেডিক্যালে তৈরি হবে মিনি ল্যাব ]