Advertisement
Advertisement
Nabanna

কার গাফিলতিতে অঘটন? মেদিনীপুরে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইনে প্রসূতি মৃত্যুতে রিপোর্ট চাইল নবান্ন

স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সুপার, অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করছেন তদন্তকারীরা, রবিবার তা জমা দেওয়ার সম্ভাবনা।

Nabanna seeks report on death of woman at Medinipur Medical College

ফাইল ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 11, 2025 6:57 pm
  • Updated:January 11, 2025 7:18 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইনের জেরে প্রসূতির মৃত্যুর জের গড়াল নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন। ২ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্যভবনকে এই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, শনিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যদপ্তরের ১৩ তদন্তকারীরা। কলেজের সুপার ও অধ্যক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় তাঁদের। তার ভিত্তিতে তৈরি হচ্ছে রিপোর্ট। রবিবারের মধ্যে তা নবান্নে জমা দেওয়া হতে পারে। তারপর তা খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে, মেদিনীপুর মেডিক্যালে মৃত মামনি রুইদাসকে নিষিদ্ধ ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট’ স্যালাইন দেওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পরই তড়িঘড়ি ওই স্যালাইন-সহ পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি ১০ টি ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যভবন তরফে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজকে পাঠানো হয়েছে। বলা হচ্ছে, যে সংস্থার তৈরি স্যালাইন নিয়ে এত বিতর্ক, তাদের তৈরি অন্যান্য স্যালাইনও আপাতত নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। সেসবের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে পাঠানো হবে। পরীক্ষার ফলাফল হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে।

Advertisement

প্রসূতি মৃত্যুর পর রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের এতটা তৎপর হওয়া নিয়ে অবশ্য সমালোচনাও শুরু হয়েছে। মৃত মামনির পরিবার প্রশ্ন তুলছে, এখন এত সচেতনতা দেখিয়ে কী লাভ? একটা প্রাণ চলে গেল! কিন্তু ঘটনা হল, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে এমন নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার সম্পূর্ণ রুখতে আগেই কয়েকটি সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। তাদের তৈরি ওষুধ বা অন্য কোনওরকম মেডিক্যাল সরঞ্জাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও গোপনে রাজ্যের একাধিক জায়গা তারা উৎপাদন জারি রেখেছে বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ি, চোপড়া, কলকাতা ভবানীপুরে তা তৈরি হচ্ছে বলে গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেসব সমূলে উৎখাত করতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement