সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রক্ষকই ভক্ষক! যার কাছে বিচার চাইতে গিয়েছিলেন তরুণী সেই পুলিশ অফিসার তাঁকে দিলেন কুপ্রস্তাব। তাতে রাজি না হওয়ায় জুটল ধর্ষণের হুমকি। নৈহাটি থানার এসআই তপন শীলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছে ছাত্রীটির পরিবার। এই নিয়ে ব্যারাকপুর কমিশনারেটে অভিযুক্ত অফিসারের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছে তারা।
[সাঁইথিয়ায় বর্বরতা, গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে কাচের বোতল]
এক আত্মীয়র সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে গণ্ডগোল ছিল মেয়েটির পরিবারের। এই নিয়ে নৈহাটি থানার দ্বারস্থ হয়েছিল তারা। ঘটনার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন নৈহাটি থানার এসআই তপন শীল। একদিন এই বিষয়ে তদন্তের জন্য নৈহাটির গরিফায় মেয়েটির বাড়িতে যান ওই পুলিশ অফিসার। বাড়িতে তখন একাই ছিলেন এমএ পাঠরতা ওই ছাত্রী। মেয়েটির পরিবারের দাবি তদন্তে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীর থেকে ফোন নম্বর নেন তপন শীল। এরপর মেসেজ করে নিয়মিত তিনি কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে ওই ছাত্রীর থেকে সাড়া না পাওয়ায় ধর্ষণের হুমকি দেন ওই তদন্তকারী অফিসার। এমনকী মেয়েটির ফোন নম্বরও ট্যাপ করা হয়। তদন্তের নামে কুরুচিকর প্রস্তাবের অভিযোগে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের দ্বারস্থ হয়েছে ছাত্রীর পরিবার।
[আড়াই হাজারের বাছুর এখন ৭৫ লাখ, আবদুলের বাড়িতে মেলা লোক]
পরিবারের অভিযোগ এসএমএসের মাধ্যমে এধরনের অশালীনতা গত কয়েক দিন ধরে চলছিল। মেয়েটি রুখে দাঁড়ানোর উল্টে ধর্ষণের শাসানি দেওয়া হয়। গড়িফার বাড়িতে মা ও দিদার সঙ্গে থাকেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। বেশিরভাগ সময় তিনি বাড়িতে একা থাকেন। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তপন শীল কারণে-অকারণে বাড়িতে আসার চেষ্টা করতেন। খোদ তদন্তকারী অফিসারের এমন ভূমিকায় গোটা পরিবার হতবাক। এই পরিস্থিতির জেরে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছেন না ওই ছাত্রী। তবে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের থেকে অবশ্য এব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।