সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারদ কাণ্ডে ধৃতদের জামিন নিয়ে তৈরি হয়েছে জট। কারণ, জামিন নিয়ে সহমত হননি দুই বিচারপতি। সেই কারণে আজই জামিন মামলা যাচ্ছে বৃহত্তর বেঞ্চে। পাশাপাশি হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, গৃহবন্দি অবস্থাতেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোভিড মোকাবিলার কাজ করতে পারবেন ফিরহাদ হাকিম। করোনা পরিস্থিতি বিচার করে এই নির্দেশ দিল আদালত।
সোমবার সকালে নারদ মামলায় (Narada Case) বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ফিরহাদকে। প্রায় একই সময়ে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও মদন মিত্রকে। প্রত্যেককেই গ্রেপ্তার করা হয়। জামিনের আবেদন করেন ধৃতদের আইনজীবীরা। আজ অর্থাৎ শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে জামিন মামলার শুনানি হয়। সেখানে অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তর্বর্তী জামিনের পক্ষে থাকলেও বিরোধিতা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। অবশেষে ধৃত চার নেতাকে গৃহবন্দি থাকতে বলা হয়।
এরপরই ধৃতদের পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে ফিরহাদ হাকিম গৃহবন্দি থাকলে মানুষকে বিপদে পড়তে হবে। কোনও কাজ করা যাবে না। কারণ ফিরহাদ হাকিমের সই ছাড়া বহু কাজ আটকে থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আদালতের তরফে বলা হয়েছে, কোভিড মোকাবিলায় ভারচুয়ালি বৈঠক করতে পারবেন ফিরহাদ হাকিম। কোনও ফাইল সইয়ের ক্ষেত্রে তাঁর বাড়িতে পাঠাতে হবে। কেউ ব্যক্তিগতভাবে ফিরহাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চাইলে সেক্ষেত্রেও একমাত্র পথ ভিডিও কনফারেন্স। কোনও পরিস্থিতিতেই সশরীরে বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। ধৃত বাকি তিনজনও যেহেতু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সেই কারণে প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন তাঁরা।
এবিষয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “কোভিড পরিস্থিতিতে ফিরহাদ হাকিম গৃহবন্দি থাকলে কলকাতার মানুষকে বাঁচানো সম্ভব হত না। আদালতে তা জানানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। আজ বেলা ২ টোয় শুনানির আবেদন করেছি। তবে এখনও এবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.