Advertisement
Advertisement

জঙ্গি দমনে জলে ভাসল নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ এল-৫৮

শুক্রবার এই যুদ্ধজাহাজ কারখানা থেকে ১০৯তম রণতরীটি জলে নামল৷

Navy ship L 58 sets sail from kolkata
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 17, 2016 8:50 am
  • Updated:December 17, 2016 8:50 am

স্টাফ রিপোর্টার: জঙ্গি দমনে জলে ভাসল নৌসেনার আরও একটি যুদ্ধজাহাজ৷ আন্দামান থেকে শুরু করে বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় জঙ্গি ও বিদেশি শক্রুদমনে নজরদারি চালাবে এই যুদ্ধজাহাজ৷ প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ও ট্যাঙ্কও বয়ে নিয়ে যাবে সমুদ্রতটে৷

শুক্রবার দুপুরে কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সের তৈরি এই যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রের দক্ষতা বিকাশ ও উদ্যোগমন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজীবপ্রতাপ রুডি৷ অষ্টম ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি (এলসিইউ) যুদ্ধজাহাজটির ‘এল ৫৮’ নামকরণ করেন মন্ত্রীর স্ত্রী নীলমপ্রতাপ সিং৷ এদিন জিআরএসই-র এই অনুষ্ঠানে রুডি জানান, দেশের কৌশল ও দক্ষতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে৷ দক্ষতা বাড়লে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রেও তা সুবিধাজনক হবে৷ একটি সমীক্ষা জানিয়েছে যে, দেশের মাত্র তিন শতাংশ মানুষ দক্ষ৷ কিন্তু চা, রবার শিল্প থেকে শুরু করে বহু শিল্পের ক্ষেত্রে এই দক্ষ শ্রমিকদের গণনা করা হয়নি৷ প্রধামনন্ত্রীর নির্দেশে নতুনভাবে এই সমীক্ষা চালানো হচ্ছে৷ ইতিবাচক ফলের আশা৷

Advertisement

জিআরএসই সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন এই যুদ্ধজাহাজ কারখানা থেকে ১০৯তম রণতরীটি জলে নামল৷ ‘এল ৫৮’ আকারে বেশ বড়৷ ৬২.৮ লম্বা ও ১১ মিটার চওড়া এই যুদ্ধজাহাজ ঘণ্টায় ১৫ নটিকাল মাইল গতিতে যেতে পারে৷ ১৬০ জন সেনা-সহ মোট ২১৬ জনকে বহন করতে সক্ষম এই জাহাজ৷ এখনও অস্ত্র বসানোর কাজ বাকি৷ এই জাহাজে দু’টি ৩০ এমএম বন্দুক বসানো হবে৷ টহল দেওয়ার সময় জঙ্গি বা শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত থাকবে এই জাহাজ৷ এটির মধ্যে রাখা যেতে পারে একাধিক সাঁজোয়া গাড়ি ও ট্যাঙ্ক৷ সমুদ্রতটের কাছেও চলে আসতে পারবে এটি৷

Advertisement

শুক্রবার সাধারণ মানুষের দেখার জন্য বন্দরে রাখা হয়েছিল দু’টি রণতরী আইএনএস ঘড়িয়াল ও আইএনএস খঞ্জর৷ ঘড়িয়াল ল্যান্ডিং শিপ বলে পরিচিত, যা ট্যাঙ্ক ও সেনাদের বহন করতে সক্ষম৷ যে সমুদ্রতটে বালি নেই, এমন দ্বীপেও সেনাদের নামাতে পারে এই জাহাজ৷ খঞ্জর ‘মিসাইল কর্ভেট’ যুদ্ধজাহাজ, যা শত্রুদের সঙ্গে সরাসরি লড়াই করতে পারে৷ এদিন ১৭টি স্কুলের হাজারের উপর ছাত্র-ছাত্রী যুদ্ধজাহাজ দু’টি পরিদর্শন করে৷ রাজ্যের নৌসেনা প্রধান এনওআইসি কমোডর সুপ্রভকুমার দে জানান, ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে নৌসেনায় যোগ দেওয়ার জন্য উৎসাহিত হয়, তার জন্যই এই প্রয়াস৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ