Advertisement
Advertisement

Breaking News

মোর্চার আন্দোলনের নেপথ্যে জঙ্গিদের হাত, অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর

তাণ্ডব বন্ধ হলে আলোচনা বসার ইঙ্গিত মমতা।

NE insurgents, Foreign funding behind Morcha unrest: Mamata
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 17, 2017 10:49 am
  • Updated:July 29, 2019 12:22 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোর্চার বেনজির তাণ্ডবের দিনে পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোর্চার এই বাড়বাড়ন্তে জঙ্গি যোগ দেখতে পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিমল গুরুংদের বাগে আনতে পাহাড়ের ১৫টি উন্নয়ন পর্ষদকে সক্রিয় হতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যারা পাহাড়ের শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হবে। পাহাড় ইস্যুতে রাজ্য সরকার শিলিগুড়িতে ২২ জুলাই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে। মোর্চার প্রতি কড়া হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, গুন্ডামির রাস্তা ছাড়লে তবেই আলোচনায় বসবেন। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে পাহাড়ে তাণ্ডবেও তিনি বেজায় ক্ষুব্ধ।

Advertisement

পাহাড়ে মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক। আর নবান্ন থেকে পাহাড় সচল রাখতে আরও গতি বাড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার পাহাড়ের ১৫টি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের ডাকা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পর্ষদের দায়িত্বপ্রাপ্তদের বুঝিয়ে দেওয়া হয় তাদের পাহাড়ের শান্তি ফেরাতে হবে। পর্ষদের পাশাপাশি প্রশাসন কী করতে চলেছে তাও জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, দার্জিলিংয়ের ভৌগলিক অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। একাধিক রাজ্য ও দেশের সঙ্গে সীমানা রয়েছে দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। পাহাড়ের অস্থিরতার সুযোগে জঙ্গিরা এর সুযোগ নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, মোর্চার সঙ্গে জঙ্গিদের যোগ রয়েছে। এর নাকি প্রমাণও তাঁর কাছে রয়েছে। উত্তর পূর্বের জঙ্গি সংগঠন এবং বিদেশি শক্তিগুলিরও এর নেপথ্যে হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এত অস্ত্র, টাকা কোথা থেকে এল? এই প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন পাহাড়ের অশান্তিতে জঙ্গি যোগ অনেকটাই পরিষ্কার।

Advertisement

[ফের উত্তপ্ত পাহাড়, মোর্চা-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সিংমারি]

পাহাড়ে দাবি আদায়ের নামে মোর্চার হিংসায় বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, জাতীয় পতাকা নিয়ে যেভাবে ভাঙচুর হচ্ছে, হোটেল থেকে পর্যটকদের বের করে দেওয়া হয়েছে তা এক কথায় গুন্ডামি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, পানীয় জল সরবরাহ, বিদ্যুৎ, স্কুল, কলেজ, রেশন বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে মোর্চা। পাহাড়বাসীর কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, বনধের নামে মানুষকে ঠকানো হচ্ছে। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে কেন্দ্রের কাছ থেকে ইতিবাচক বার্তা পাননি বিমল গুরুংরা। রাজ্যও কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। এই পরিস্থিতিতে মোর্চাকে বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন হিংসার পথ ছাড়লে তবেই আলোচনা। মদন তামাং হত্যা কাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিট প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন মোর্চা নেতাদের ওপর কিন্তু শাস্তির খাঁড়া ঝুলছে। মোর্চাকে রাজনৈতিকভাবে চাপে রাখতে আগামী ২২ জুন শিলিগুড়িতে বৈঠক ডাকা হয়েছে। যেখানে থাকবেন পাহাড়ের ১৫টি উন্নয়ন পর্ষদের পদাধিকারীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ