Advertisement
Advertisement

তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের তৎপরতা তুঙ্গে, মমতার দরবারে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী

সোমবার বৈঠক নবান্নে।

New equation in National politice, Chandrasekhar Rao to meet Mamata at Nabanno
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 18, 2018 8:50 am
  • Updated:June 23, 2022 6:12 pm

স্টাফ রিপোর্টার: সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে জোর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি।  উত্তরপ্রদেশে জোট বেঁধে শাসকদলকে ধরাশায়ী করেছে মায়া-অখিলেশ জোট। খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কেন্দ্র গোরক্ষপুরে হেরেছে বিজেপি প্রার্থী। এই পরিস্থিতিতে আগামী বছর লোকসভা ভোটে তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরির চেষ্টা আরও গতি পেল। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে এ রাজ্যে আসছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। নবান্নে দুই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হবে। সূত্রের খবর, বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় বিজেপি বিরোধী জোট গঠন। গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল তাকিয়ে থাকবে নবান্নের বৈঠকের দিকে। শুক্রবারই মমতার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবনকুমার চামলিং। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সুপ্রিমোর কলকাতায় আসাও বিরোধী ফ্রন্ট গঠনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। মমতার নেতৃত্বেই বিজেপি বিরোধী জোট গঠনে যে সবাই আগ্রহী, তাও স্পষ্ট।

[সাউথ সিটির বহুতল থেকে ফের মরণঝাঁপ, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু মহিলার]

Advertisement

মমতা প্রথম থেকেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তিনিই বিজেপিকে সরাতে বিরোধী দলের ‘এক প্রার্থী তত্ত্ব’-র পক্ষেও সওয়াল করেছিলেন। সেই সূত্র ধরেই উত্তরপ্রদেশে গোরক্ষপুর ও ফুলপুর লোকসভার উপনির্বাচনে সাফল্য পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি-বহুজন সমাজ পার্টির জোট। কয়েকদিন আগেই কালভাকুন্তলা চন্দ্রশেখর রাও তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের পক্ষে টুইটে বিবৃতি দেন। তারপর মমতার সঙ্গে তাঁর কথাও হয়। মমতা চন্দ্রশেখর রাওকে সব আঞ্চলিক দলগুলি নিয়ে জোটবদ্ধ হওয়ার বার্তাও দিয়েছিলেন। পাহাড়ে শিল্প সম্মেলনে যাওয়ার আগে মমতার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিলেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল। আগামী ২৬ মার্চ দিল্লিতে শরদ পাওয়ারের ডাকা বৈঠকে মমতাকে আমন্ত্রণ করে গিয়েছেন তিনি।

Advertisement

[সত্যি সে দৃষ্টিহীন? মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন প্রমাণ চাইলেন শিক্ষক]

দিল্লিতে মমতার নেতৃত্বে তৃতীয় জোট গড়ার প্রক্রিয়া যে শক্তিশালী হয়েছে,  তা অনেকদিন আগে থেকেই অবশ্য স্পষ্ট হয়েছিল। গুজরাটের প্যাটেল সম্প্রদায়ের তরুণ নেতা হার্দিক প্যাটেল নবান্নে এসেও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীই প্রধানমন্ত্রী পদে সেরা বিকল্প। আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালও মমতাকে ‘আদর্শ নেত্রী’ আখ্যা দিয়েছিলেন। তবে উত্তরপ্রদেশের ফলের পর মমতার তত্ত্বকে স্বীকার করে অবিজেপি অন্য নেতারাও নতুন ফ্রন্ট গঠনে বাড়তি তৎপরতা নিয়েছেন। শুক্রবার প্রাক্তন বিজেপি নেতা আইনজীবী রাম জেঠমালানি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রধানমন্ত্রী পদে যোগ্যতম ব্যক্তি।

[শহরে রহস্যজনকভাবে মৃত সিরিয়ার পাইলট, তদন্তে পুলিশ]

কংগ্রেস নেতারাও মমতাকে তৃতীয় ফ্রন্টের নেত্রী ধরে এগোচ্ছেন। সোনিয়া গান্ধীও দিল্লিতে বৈঠকে তৃণমূল নেত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। জাতীয় রাজনীতিতে এখন স্পষ্ট, মমতার নেতৃত্বেই বিজেপি-বিরোধী জোট দৃঢ়ভাবে গড়ে উঠছে। অখিলেশ যাদব বা মায়াবতীরাও সেই জোটের শরিক হচ্ছেন। বিহারের উপনির্বাচনের পর আরজেডির লালুপ্রসাদ যাদবও মমতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, “একসঙ্গে লড়াই করছি, করব, জিতব।”

[দেশের পঞ্চম ভুলোমনা শহর কলকাতা, জানাচ্ছে নয়া সমীক্ষা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ