সুব্রত বিশ্বাস: স্টেশন থেকে হাওড়া ব্রিজ (পড়ুন রবীন্দ্র সেতু) পর্যন্ত যেতে পথচারীদের জন্য পৃথক রাস্তা চালু হল। এদিন হাওড়া সিটি পুলিশের উদ্যোগে রাস্তাটি চালু করা হয়। হাওড়া ব্রিজ থেকে স্টেশনে প্রবেশের দুটি রাস্তাই ডানদিক দিয়ে গিয়েছে। বাঁদিকের রাস্তাটি স্টেশন থেকে ব্রিজের দিকে গাড়ি চলাচলের জন্য ব্যবহার হয়। মধ্যবর্তী রাস্তাটিকেই মাঝ বরাবর ভাগ করা হয়েছে।তার একটিতে গাড়ি চললেও আর একটিতে হেঁটে যাতায়াত করবেন পথচারীরা। এমনিতেই স্টেশন থেকে বেরিয়ে বাস, ট্যাক্সি, ক্যাব ও অন্যান্য গাড়ির ভিড়ে পথচারীদের হাঁটতে সমস্যা হত। মাঝেমাঝে দুর্ঘটনাও ঘটত। নতুন রাস্তা চালু হওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বেছেছেন নিত্যযাত্রীরা।
[গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগে বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর, নামল ব়্যাফ]
উল্লেখ্য, জেলা থেকে হাওড়ায় আসা যাত্রীদের প্রত্যেকেই বাসে চড়ে কলকাতায় যান না। অনেকেই হেঁটে যাতায়াত করেন। তাঁরা স্টেশন লাগোয়া এই তিন রাস্তার মধ্যে দিয়েই কোনওরকমে পথ বের করে নেন পথচারীরা। এর জেরে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। যানজটও সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছিল হাওড়া সিটি পুলিশ। এতদিনে সমাধানের রাস্তা পাওয়া গিয়েছে। হাওড়া স্টেশনের সামনে থেকে ব্রিজ অভিমুখে আসা রাস্তা থেকেই নতুন রাস্তা বের করা হয়েছে। এখন ট্রাফিকের ডিভাইডার দিয়েই পথচারীদের জন্য রাস্তা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। খুব শিগগির সেই রাস্তা স্থায়ীভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে। ফলে স্টেশন তেকে বেরিয়েই ট্যাক্সির জটে আটকে পড়বেননা পথচারীরা। ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়েই নির্দিষ্ট রাস্তাটি শুরু হচ্ছে। তাই ট্রেন থেকে নেমে পথচারীদের খুব বেশি ছোটাছুটি করতে হবে না। স্টেশন থেকে ১৪ ও ১৫ নম্বর সাবওয়ের গেট দিয়ে বেরিয়েও রাস্তাটি পাওয়া যাবে।
এদিকে সুবিধার সঙ্গে অসুবিধাও জুড়েছে। হাওড়া ব্রিজের নিচের একটি আন্ডারপাস আটকে পড়েছে এই নয়া রাস্তার কারণে। পথচারী থেকে গাড়ি কেউই সংশ্লিষ্ট আন্ডারপাস ব্যবহারের সুযোগ পাবে না। পাশাপাশি ৪ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের বাইরে রেলিং দিয়ে রাস্তা তৈরি হওয়ায় সমস্যাও হচ্ছে। ভিড়ের সময় নাকাল হচ্ছেন যাত্রীরাই।