Advertisement
Advertisement

Breaking News

শহরে শব্দবাজি, ডিজে রুখতে বিসর্জনেও নজর রাখবে ২৫৫টি পুলিশ পিকেট

৯০ ডেসিবেলের উপরে বাজি ফাটবে না বিসর্জনে।

No DJ, cracker in Kolkata on Diwali

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:November 8, 2018 10:38 am
  • Updated:November 8, 2018 10:38 am  

অর্ণব আইচ: কালীপুজোর বিসর্জনেও পুলিশের মূল নজর শব্দবাজির দিকে। শোভাযাত্রায় ডিজে দেখলেই আটকাবে পুলিশ। বিসর্জনের সময় কোনওমতেই ৯০ ডেসিবেলের উপর বাজি ফাটাতে দেওয়া হবে না। সেই ক্ষেত্রে আলোর বাজির উপর বিশেষ রাশ থাকছে না। বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যাতে আইন ও শৃঙ্খলার সমস্যা না হয়, তার জন্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় থাকছে পুলিশের ২৫৫টি পিকেট।

পুলিশ জানিয়েছে,  শহরে কোনও জায়গায় শব্দবাজির আওয়াজ পেলেই সেখানে ছুটে গিয়েছে বাহিনী। পুলিশের তৎপরতায় অনেক কমেছে শব্দবাজির তাণ্ডব। বিসর্জনের সময়ও যাতে শব্দবাজি না ফাটানো হয়, এবার সেদিকেই রয়েছে পুলিশের নজর। বুধবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে বিসর্জন। বাড়ির কিছু ঠাকুর বিসর্জন হলেও বেশিরভাগ বারোয়ারি পুজোর বিসর্জনই হয়নি। বৃহস্পতিবার থেকে বারোয়ারি পুজো উদ্যোক্তারা কালীঠাকুর বিসর্জন দিতে শুরু করবেন। শনিবার পর্যন্ত বিসর্জন দেওয়া যাবে। এর আগেও দেখা গিয়েছে  কিছু পুজো উদ্যোক্তারা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় সঙ্গে লুকিয়ে শব্দবাজি নিয়ে আসেন। সুযোগ পেলে ফাটাতে শুরু করে চকোলেট বোমা, কালীপটকা, দোদমা। লালবাজারের পক্ষে জানানো হয়েছে, বিসর্জনের সময় শব্দবাজি বরদাস্ত করা হবে না। তাই প্রত্যেকটি শোভাযাত্রার উপরই রাখা হবে নজর। অনেক সময় বড় রাস্তায় শব্দবাজি ফাটানো না হলেও ভিতরের রাস্তাগুলিতে শব্দবাজি ফাটানোর চেষ্টা হয়। তাই প্রত্যেকটি থানার টহলদার গাড়ির নজর থাকবে সেদিকে। দীপাবলিতে রাত আটটা থেকে দশটার বাইরে ফাটানো নিষিদ্ধ আতশবাজি। যদিও বিসর্জনের ক্ষেত্রে সেই ধরনের কোনও নির্দেশ নেই। কিন্তু শোভাযাত্রায় আতশবাজি পোড়ানো ঘিরে যাতে কোনও সমস্যা সৃষ্টি না হয়, পুলিশের নজর থাকছে সেদিকেও।

Advertisement

[ফের শহরে অঙ্গ প্রতিস্থাপন, তরুণীর ব্রেন ডেথ-এ প্রাণ পেল তিনজন]

ইতিমধ্যেই যাঁরা ডিজে ভাড়া দেন, তাঁদের প্রত্যেককে সতর্ক করেছেন সংশ্লিষ্ট থানার আধিকারিকরা। তাঁরা যাতে কালীপুজোর বিসর্জনের সময় কোনও পুজো উদ্যোক্তাকে ডিজে ভাড়া না দেন, সেই বিষয়টি তাঁদের জানানো হয়েছে। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ডিজে থাকলে সেই পুজো উদ্যোক্তার বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যে ২৫৫টি পুলিশ পিকেট রয়েছে, মূলত তারা শোভাযাত্রাগুলির উপর নজরদারি চালাবে। বিসর্জনের জন্য গঙ্গার প্রত্যেকটি ঘাটেও রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ২৯টি ঘাটে থাকছে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের বিশেষ টিম। থাকছে ডুবুরিও। বিসর্জনের সময় কেউ যদি স্রোতে ভেসে যান, তাঁকে যাতে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করা যায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[উৎসবের শহরে পথদুর্ঘটনা, উড়ালপুলে অটো উলটে মৃত্যু যাত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement