সুব্রত বিশ্বাস: খরচ কমাতে এবার উঠেপড়ে লাগল ভারতীয় রেল৷ আর সেই লক্ষ্যেই আরপিএফ দপ্তরগুলি থেকে ক্লার্কদের সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল রেল বোর্ড৷ ওই জায়গায় আরপিএফ কর্মীরাই এবার থেকে ক্লার্কদের কাজ করবেন৷ কাজের স্বচ্ছতার সঙ্গে উপযুক্ত মান বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। বোর্ড কমিটি গঠন করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে কমিটিকে। কমিটি খতিয়ে দেখবে, চিফ সিকিউরিটি কমিশনারের অফিস ও ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনের দপ্তরগুলিতে কত কর্মী কাজ করেন। তাঁদের বর্তমান অবস্থান ও কার্যকারিতা কেমন, আরপিএফ কর্মীরা কীভাবে তা সামলাবেন ইত্যাদি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে কমিটি।
আরপিএফ আধিকারিকদের মতে, সদর দপ্তরে অর্থাৎ আইজির কাছে কোনওরকম আপিল এলে মাসের পর মাস ফেলে রাখা হয়, ডিভিশনের কোনও ডেভলপমেন্ট সংক্রান্ত রিপোর্ট আইজির কাছে পাঠানো হলে তা যথাযথ ভাবে পুট আপ হয় না। কত চিঠি রেজিস্ট্রি হল, কী অ্যাকশান নেওয়া হল তার রেজিস্টারে রাখা হয় না বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। রেলের এই আধা সামারিক বাহিনীর দপ্তরে এই ধরনের কর্তব্যপরায়ণতা এক প্রকার অর্থহীন বলে মনে করেছে রেল। ফলে ওই দপ্তরে সাধারণ ক্লার্কের প্রয়োজন নেই। আরপিএফ কর্মীরাই সামালতে পারবেন নিজেদের এই কাজ৷
তবে, রেলের এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই নানা মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে৷ এমনিতেই, নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ রয়েছে আরপিএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে৷ এই পরিস্থিতিতে আরপিএফ জওয়ানরা যদি নিজেদের প্রয়োজনে অফিস ক্লার্কের কাজ করতে থাকেন, তাহলে যাত্রীদের নিরাপত্তা দেবে কে? সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.