Advertisement
Advertisement

Breaking News

ট্যাংরা

সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে হদিশ মিলল ট্যাংরা কাণ্ডের ঘাতক অ্যাম্বুল্যান্সের, ধৃত ২

অপহরণের অভিযোগ আদৌ সত্যি কি না তা নিয়ে সন্দিহান তদন্তকারীরা।

One accused detained in tangra murder case, investigation

ছবিটি প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 5, 2020 7:28 pm
  • Updated:February 5, 2020 9:13 pm

অর্ণব আইচ: ট্যাংরায় বৃদ্ধ খুনের তদন্তে নেমে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতেই মহেশতলা গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই যুবককে। পরে বিষ্ণুপুর থেকে অপর অভিযু্ক্তকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারীরা।

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। এদিন বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল ট্যাংরা ক্রিস্টোফার রোডের এক পরিবারের। পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শ্বশুর। সঙ্গে ছিলেন মহিলার মামাশ্বশুরও। বিয়েবাড়ি থেকে বাড়ি ফিরতে বেশ রাত হয়ে যায় তাঁদের। অভিযোগ, ফাঁকা রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসার সময় একটি অ্যাম্বুল্যান্স তাঁদের ধাওয়া করতে শুরু করে। প্রথমে তা বুঝতে পারেননি কেউই। তবে ট্যাংরা গোবিন্দ খটিক রোডে মহিলার পথ আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে ওই অ্যাম্বুল্যান্সটি। অভিযোগ, সেই সময় অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে ছিল দু’জন যুবক। তারা জোর করে মহিলাকে অ্যাম্বুল্যান্সে টেনে তোলার চেষ্টা করে। তাতে বাধা দেন মহিলা। চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। তা শুনতে পেয়েই অ্যাম্বুল্যান্সের সামনে চলে আসেন তাঁর শ্বশুর এবং মামাশ্বশুর। মহিলার চিৎকার শুনে স্থানীয়রাও জড়ো হতে শুরু করেন।

Advertisement

ambulance

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা, কলকাতার হাসপাতালে ভরতি পূ্র্ব মেদিনীপুরের যুবক]

গৃহবধূকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন তাঁর শ্বশুর এবং মামাশ্বশুর। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত দুই যুবক। সেই সময় অ্যাম্বুল্যান্সের সামনে চলে আসেন মহিলার শ্বশুর। তখন তাকে পিষে দিয়ে বেরিয়ে যায় অ্যাম্বুল্যান্সটি। তড়িঘড়ি প্রৌঢ়কে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে ওই প্রৌঢ়ের। এরপরই ট্যাংরা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ঘাতক অ্যাম্বল্যান্সটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স চালককে।  যদিও পুলিশের দাবি মৃত্যকালীন বয়ানে অপহরণের কথা বলেননি ওই বধূর শ্বশুর। তবে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ