২২ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  মঙ্গলবার ৬ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

শহরে ফের অঙ্গদানের নজির, পাঁচজনকে নবজীবন দিলেন কোলাঘাটের সজল

Published by: Tanumoy Ghosal |    Posted: December 20, 2018 3:59 pm|    Updated: December 20, 2018 4:16 pm

Organ Transplant in Kolkata

অভিরূপ দাস: সবে জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন। কলেজের ফাইনাল ইয়ার। পাস করেই চাকরির প্রস্তুতি। কিন্তু তারই মধ্যে মর্মান্তিক পরিণতি হল বছর কুড়ির সজল করের। ভেজা রাস্তায় ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন তিনি। কোলাঘাটে কর পরিবারের সদস্যরা যখন শোকের পাথর হয়ে গিয়েছেন, তখন সজলের জন্য হাসি ফুটতে চলেছে পাঁচটি পরিবারের মুখে। মৃত্যুর পর পাঁচজনকে নতুন জীবন দিয়ে গেলেন কোলাঘাটের ওই যুবক। চিকিৎসকরা ব্রেন ডেথ ঘোষণার পরই একমাত্র ছেলের অঙ্গদান করার সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের লোকেরা। সজলের একটি কিডনি পেয়েছেন বারুইপুরের জয়প্রতীম ঘোষ। এসএসকেএম-এ হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপিত হওয়ার কথা হবিবুর রহমান নামে এক রোগীর শরীরে। সজল করের লিভার, চোখের কর্নিয়াও প্রতিস্থাপনের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ফের একবার অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সাক্ষী থাকল তিলোত্তমা। 

[ অ্যাপ ক্যাবে ওঠা নিয়ে গন্ডগোল, পার্ক স্ট্রিটে মহিলাকে চড় কর্তব্যরত এসআইয়ের]

হাওড়ার বাগনান কলেজের বিকম ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র সজল কর। বাড়ি, কোলাঘাটের মহিষদাঁর এলাকায়। সোমবার রাতে বাইকে চেপে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মেচেদা থেকে হলদিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কোলাঘাটের রামতারকহাটের কাছে ভেজা রাস্তায় বাইকের চাকা পিছলে যায়। রাস্তায় ছিটকে পড়েন সজল, মাথা ও বুকে গুরুতর আঘাত লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। অবস্থার অবনতি হওয়ার পরে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার সিএমআরআই-তে। কিন্তু, সজলকে বাঁচানো গেল না।  বুধবার রাতে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সজল করের ব্রেন ডেথ হয়ে গিয়েছে। তাঁর আর বাঁচার কোনও সম্ভাবনা নেই। পরিবারের লোকেদের কাছে অঙ্গদানের আরজি জানান সিএমআরআইয়ের চিকিৎসকরা। রাজি হয়ে যান সজল করের বাড়ির লোকেরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে যায় তোড়জোড়। সিদ্ধান্ত হয়, সজলের হৃদ্‌যন্ত্র যাবে এক জায়গায়। লিভার, কিডনি ও চোখ যাবে অন্য তিনটি হাসপাতালে। দ্রুত অঙ্গ হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য শহরে তিনটি গ্রিন করিডর তৈরি করে পুলিশ। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, সজল করের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য সিএমআরআই থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম হাসপাতাল ও অ্যাপোলো হাসপাতাল পর্যন্ত তিনটি গ্রিন করিডর তৈরি করা হয়। নিহত যুবকের কর্নিয়া শংকর নেত্রালয়ে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। 

[ হাতের মুঠোয় ‘স্কিমার’, পুলিশের জালে এটিএম জালিয়াতির নয়া চক্র]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে