সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ বছর আগে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote 2023) যে পরিমাণ রক্তাক্ত হয়েছিল, ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত হিংসা সে তুলনায় কম। সেটাকেই নিজেদের সাফল্য দাবি করেছে তৃণমূল। শাসকদল বলছে, ২০১৮ সালের তুলনায় বিরোধীদের মনোনয়ন অনেক বেশি হয়েছে। কার্যত নগণ্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসকের জয়ের সংখ্যা। তাতেই বোঝা যায়, তৃণমূল (TMC) সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত ভোট করাতে আগ্রহী।
শাসকদলের মুখপাত্র দেবাংশু (Debangshu Bhattacharya) ভট্টাচার্য ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, ২০২৩ নির্বাচনে রাজ্যে জেলা পরিষদ স্তরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন মাত্র ১ শতাংশ প্রার্থী। রাজ্যের জেলা পরিষদগুলিতে সম্মিলিত আসন সংখ্যা ৯২৮। সেখানে তৃণমূল বিনা লড়াইয়ে জিতেছে মাত্র ১০ টি আসনে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে মাত্র এক শতাংশ আসনে ভোটের আগে জয় পেয়েছে শাসক দল। জেলা পরিষদে বিজেপি ৯৭ শতাংশ, সিপিএম (CPIM) ৯৬ শতাংশ এবং কংগ্রেস (Congress) ৭১ শতাংশ আসনে প্রার্থী দাঁড় করাতে পেরেছে।
ওই পরিসংখ্যান তুলে ধরে দেবাংশু বলছেন, “বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়”, যা গত ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব চাইতে বেশি চর্চিত শব্দ ছিল, শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মত নেতাদের নেতৃত্বে তার হার দাঁড়িয়েছিল সর্বকালীন রেকর্ড ৩৪%। এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তাই কমে এলো কেবলমাত্র ১ শতাংশে!” তৃণমূল মুখপাত্রর দাবি, “একটা দল সর্বশক্তি প্রয়োগ করে রাজ্যের চিরাচরিত ছবিটা বদলানোর চেষ্টা করছে, এবং অনেকাংশে তাতে সাফল্যও অর্জন করছে! বিশেষজ্ঞ এবং বুদ্ধিজীবীরা অন্তত একটু প্রশংসা তো করতেই পারেন!”
অর্থাৎ জেলা পরিষদ স্তরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের হার যে অনেকটা কম সেটাকে শাসকদলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফল হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন দেবাংশু। যদিও বিরোধীরা বলছে, শুধু জেলা পরিষদের পরিসংখ্যান তুলে ধরে সার্বিক চিত্র বোঝা সম্ভব নয়। পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে তৃণমূলের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সংখ্যাটা আরও বাড়বে। তাছাড়া, কোনও একটি আসনেও যদি বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারে, সেটাও তো প্রশাসনের ব্যর্থতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.