ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শোকের দিনেও রাজনীতি! বুধবার প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের মৃত্যুতেও রাজনীতি টেনে আনলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন দিলীপ ঘোষ ফলতার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের করোনায় মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে বলেন, ‘তমোনাশ ঘোষের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক৷ এক মাস তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। সরকার ভিআইপিদেরও চিকিৎসার সুষ্ঠু ব্যবস্থা করতে পারছে না। এটা ব্যর্থতা। শাসকদলের বিধায়ক ও সাংসদরা আক্রান্ত হচ্ছে। কারণ তারা সোশ্যাল ডিসটেন্স মানছেন না। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীও মানছেন না। অথচ আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছেন।’
বিধায়কের মৃত্যুতে সরকারের উপর আঙুল তোলায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল। এদিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় টুইট করে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি মানসিক ভারসাম্য এবং শ্রদ্ধার বোধ পুরোপুরি হারিয়েছেন?’ পার্থ লেখেন, ‘আমরা আমাদের প্রিয় সহকর্মীকে হারিয়েছি আর আপনি সেই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারছেন না।’ এককদম এগিয়ে কড়া ভাষায় তোপ দাগেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘ছোটলোকামির রাজনীতি করছেন দিলীপ ঘোষ।’
[আরও পড়ুন: সুন্দরবনের জন্য হবে মাস্টারপ্ল্যান, কমিটিতে সব দলের প্রতিনিধি রাখার ঘোষণা মমতার]
এদিন দিলীপ ঘোষ আরও বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে মানেননি, বলে দিয়েছিলেন মানার দরকার নেই। তাঁর বাকি নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক-সাংসদরাও মানেননি। তার পরিণামেই অনেকে আজ অসুস্থ।’ দিলীপ বলেন, ‘আমার মনে হয়, সরকার এত দায়িত্বজ্ঞানহীন, তার নিজের লোকেদেরও রক্ষা করতে পারছে না।’ ফিরহাদ এদিন দিলীপকে পালটা আক্রমণ করে বলেন, ‘যে কোনও মানুষেরই করোনা হতে পারে। যে কোনও মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই শোকের সময়ে যাঁরা রাজনীতি করেন এটা তাঁদের অত্যন্ত ছোট মনের পরিচয়। এটা রাজনীতির সময় নয়, পাগলের প্রলাপের উত্তর দেওয়ারও সময় নয়।’