Advertisement
Advertisement

Breaking News

রোগী মৃত্যুকে ঘিরে রণক্ষেত্র পিয়ারলেস, ভাঙচুর হাসপাতালে

আতঙ্কিত হাসপাতালের অন্যান্য রোগীরা৷

Patient died in Peerless
Published by: Tanujit Das
  • Posted:November 12, 2018 1:57 pm
  • Updated:November 12, 2018 2:14 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোগী মৃত্যুকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি পিয়ারলেস হাসপাতালে৷ হাসপাতালে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে মৃত রোগীর বাড়ির পরিজনের বিরুদ্ধে৷ ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ বাহিনী৷ তাঁরাই পরিস্থিতি সামাল দেয়৷ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি৷ তবে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে হাসপাতাল চত্বরে৷ বিশেষ করে যে সমস্ত রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসছেন বা যাঁরা হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷

[SRFTI ক্যাম্পাসে ভিন রাজ্যের ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত দুই পড়ুয়া]

Advertisement

জানা গিয়েছে, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ৮২ বছরের এই রোগী পিয়ারলেস হাসপাতালে ভরতি হন৷ সোমবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেই খবর তাঁর বাড়ির লোকের কানে পৌঁছাতেই তাঁরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন৷ সকাল ১০ থেকে হাসপাতালের ভিতরে চিৎকার করতে শুরু করেন তাঁরা৷ রোগীর পরিস্থিতি যে প্রথম থেকেই খারাপ ছিল, তাঁদের তা বোঝানোর চেষ্টা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ অভিযোগ, হাসপাতালের আধিকারিকদের কোনও কথাই কানে তোলেন না তাঁরা৷ এরপর হঠাৎই হাসপাতালের ভিতরে ভাঙচুর শুরু করেন তাঁরা৷ সেখানে থাকা কমপিউটার থেকে শুরু করে চেয়ার-টেবিল সবকিছুই ভাঙেন মৃতের বাড়ির লোকেরা৷ কার্যত রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয় ইএম বাইপাস লাগোয়া ওই হাসপাতালে৷ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর দেয় পঞ্চসায়র থানায়৷ পুলিশ এসে রোগীর বাড়ির উত্তেজিত আত্মীয়দের হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যায় এবং এরপরেই পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হয়৷

Advertisement

[শোয়ার ঘরের দরজা খুলতেই চোখ কপালে উঠল স্বামীর, এ কী করলেন স্ত্রী!]

তবে এখনও আতঙ্কের পরিবেশ বজায় রয়েছে হাসপাতালের ভিতরে৷ বিশেষ করে যে সমস্ত রোগীরা হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন বা যাঁরা এমার্জেন্সি বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসছেন তাঁরা বেশ আতঙ্কিত৷ রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে ভয়ে রয়েছেন পরিজনেরা৷ ওই সময়ের উত্তপ্ত পরিস্থিতি বর্ণনা করতে খাবি খাচ্ছেন হাসপাতালের অন্যতম অধিকর্তা ডাক্তার সুদীপ্ত মিত্র৷ তিনি জানান যে, রোগীর বাড়ির প্রায় ২৫-২৬ জন এসে তাঁদের উপরে হামলা চালায়৷ হামলাকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই বহিরাগত ছিলেন৷ সময় মতো পুলিশ না পৌঁছালে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হত না বলেই তাঁর মত৷ এখনও ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ বজায় রয়েছে হাসপাতাল চত্বরে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ