Advertisement
Advertisement

Breaking News

জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাণ্ডবের জের, হৃদরোগে মৃত্যু প্রৌঢ়ার

কেন একজনের সমস্যায় অন্যরা ভুগবেন, উঠছে প্রশ্ন।

Patient dies as mob ransacks Joka ESI Hospital
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 11, 2017 4:32 am
  • Updated:September 11, 2017 4:32 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ রোগীর পরিবারের তাণ্ডব জোকা ইএসআই হাসপাতালে। তছনছ করে দেওয়া হয় আইসিইউতে থাকা ভেন্টিলেটর-সহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। এই পরিস্থিতিতে মৃত্যু হল এক রোগিণীর। অভিযোগ মারমুখী জনতাকে দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান শকুন্তলা চৌধুরী। তাণ্ডবের জেরে আরও কয়েকজন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

[চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু কিশোরের, তুলকালাম ইএসআই হাসপাতালে

Advertisement

হাসপাতালে সূত্রে খবর, আরও আটজন মুমূর্ষূ রোগীর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। রবিবার হামলার জেরে জোকা ইএসআইয়ের ক্রিটিক্যাল ইউনিটের যন্ত্রপাতি এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়েছে। যারা এই মুহূর্তে হাসপাতালে রয়েছেন তারা পরিষেবা কার্যত কিছুই পাচ্ছেন না। বারো শয্যার আইসিইউ কবে পুরনো অবস্থায় ফিরবে সে সম্পর্কে অন্ধকারে হাসাপাতালের কর্মীরা। তারাতলার ছাত্র বিবেক কুমারের মৃত্যুর প্রতিবাদে রবিবার তাণ্ডব চলে ওই হাসপাতালে। শুধু ভাঙচুরের ক্ষত নয়, আতঙ্কে রয়েছেন হাসপাতালের অন্য রোগীরা। যার জেরে প্রাণবায়ু চলে যায় শকুন্তলা চৌধুরীর। আইসিইউর পাঁচ নম্বর ভেন্টিলেশনে ছিলেন ৬৫ বছরের ওই রোগিণী। হার্ট ফেলিয়োর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল তাঁর। রোগীর পরিবারের অভিযোগ হামলা থেকে রেহাই মেলেনি আইসিইউতে থেকে ভর্তি থাকা আরও আটজন রোগীর। ষাটোর্ধ্ব অনিমা ঘোষের থেকে স্যালাইন ড্রিপের সুচ টান মেরে খুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হন অনিমাদেবী। আইসিইউয়ের অপর এক বেডে থাকা সায়রা বানু নামে এক রোগিণী চুলের মুঠি ধরে বেড থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি সায়রা মানসিক ট্রমা ও প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত। ডাক্তারদের বক্তব্য রবিবার তাণ্ডবের পর অনেকেই আর হাসপাতালে থাকতে চাইছেন না।

Advertisement

[আড়াই হাজারের বাছুর এখন ৭৫ লাখ, আবদুলের বাড়িতে মেলা লোক]

একটি ভুলের জন্য কেন অন্যরা তার শিকার হবেন। এই প্রশ্ন এখন ঘুরছে জোকা ইএসআইয়ে থাকা রোগী এবং তাদের পরিবারের মধ্যে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তারা ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ