সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাস কলকাতায় সরকারি হাসপাতালের বেড থেকে উধাও! রোগী ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। পরে অবশ্য ওই রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে উদ্ধার করে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতি করে লেক থানার পুলিশ। স্বস্তিতে পরিবারের লোকেরা। তবে এই ঘটনায় শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।
[দেড় কেজি গাঁজা হবে? ফোন পেয়ে তাজ্জব নারকোটিক্স কর্তা]
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বাসিন্দা পঁয়ষট্টি বছরের বৃদ্ধ ভরতচন্দ্র অধিকারী। বেশ কয়েকদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় তিনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ওই বৃদ্ধকে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তাঁদের অভিযোগ, ভরতি নেওয়ার পর, রোগীর কাছে যেতে দিচ্ছিল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর জোর করেই ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন ভরতবাবুর পরিবার লোকেরা। তাঁদের দাবি, বেডে ছিলেন না তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু, ওই বৃদ্ধা কোথায় গেলেন, তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। এমনকী, রোগীকে সন্ধান করার বিষয়ে হাসপাতালে তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ভবানীপুর থানায় গোটা ঘটনা জানিয়ে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ভরতচন্দ্র অধিকারীর বাড়ির লোকেরা। শুক্রবার সকালে তাঁরা জানতে পারেন, রাতে ভরত বাবুকে উদ্ধার করেছে লেক থানার পুলিশ। তাঁকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
[প্রকাশ্যে মহিলাকে কুপ্রস্তাব, গ্রেপ্তার কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল]
কিন্তু, খোদ সরকারি হাসপাতালে বেড থেকে কীভাবে উধাও হয়ে গেলেন ওই বৃদ্ধ? পরিবারের লোকেদের দাবি, ওই বৃদ্ধ জানিয়েছেন, ভরতি হওয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি নিজেই নাকি পায়ে হেঁটে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল থেকে বাইরে বেরিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, হাসপাতাল থেকে একজন রোগী বেরিয়ে গেল। কিন্তু, চিকিৎসক বা নার্স কারও নজরে পড়ল না কেন? নিরাপত্তারক্ষীরাই বা কী করছিলেন? ভরতচন্দ্র অধিকারীর পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ।
[হানিমুনে জোর করে মদ খাইয়েছে স্বামী, থানায় অভিযোগ নববধূর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.