Advertisement
Advertisement
assaults pharmacist

প্রেসক্রিপশনের চেয়ে বেশি ওষুধ দিতে গররাজি, মেটিয়াবুরুজে আক্রান্ত ফার্মাসিস্ট!

রোগীর পরিবারের হাতে মার খেয়ে কোমর ভাঙল ফার্মাসিস্টের

patient party assaults pharmacist at metiabruz health centre

ছবি: প্রতীকী

Published by: Avirup Das
  • Posted:February 12, 2020 5:45 pm
  • Updated:February 12, 2020 5:45 pm

অভিরূপ দাস: ফের রোগীর পরিবারের আক্রমণের মুখে চিকিৎসা কর্মী।মাস কয়েক আগে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক ফার্মাসিস্ট। সেই ঘটনার এক বছরও কাটে নি। ফের আক্রান্ত আরও এক। এবার রোগীর পরিবারের আত্মীয়দের মারে গুরুতর আহত মিরাজুল ইসলাম নামে এক ফার্মাসিস্ট। আপাতত কোমর ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি তিনি।

কলকাতা পুরসভার ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফার্মাসিস্টের কাজ করতেন মীরাজুল। অভিযোগ মেরে তার কোমর ভেঙে দিয়েছেন রবিউল নামে মেটিয়াবুরুজের এক ব্যক্তি। অভিযুক্ত রবিউল নিজেকে রোগীর পরিবারের আত্মীয় বলে দাবি করেছেন। কি হয়েছিল ঘটনা? কলকাতার মেটিয়াবুরুজ এলাকায় ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডের আর্বান প্রাইমারি হেলথ ক্লিনিকে এসেছিলেন এক রোগী। তাঁর গ্যাসট্রিকের সমস্যা ছিল। ডাক্তার তাঁকে দেখে প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লিখে দেন। সেখানে লেখা ছিল ওই রোগীকে পাঁচটি অ্যান্টাসিড দেওয়ার কথা। প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী মিরাজুল সেই ওষুধ নিয়ে আসে। কিন্তু রোগীর পরিবার দাবি করে ২০টি অ্যান্টাসিড দিতে হবে। এই নিয়েই শুরু হয় বচসা। 

Advertisement

রোগীর পরিবারের সঙ্গেই হেলথ ক্লিনিকে এসেছিলেন রবিউল নামে এক ব্যক্তি। মিরাজুল তাঁকে জানায় প্রেসক্রিপশনে যা লেখা আছে তার থেকে বেশি ওষুধ দেওয়ার নিয়ম নেই। এ কথা শুনে আচমকাই ক্ষেপে ওঠে রবিউল। ব্যাপক মারধর শুরু করে তাকে। অভিযোগ প্রচন্ড মারধরের জেরে কোমর ভেঙে যায় তাঁর। এরপর মিরাজুলকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্যের ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। ইন্ডিয়ান ফার্মাসিটিকাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘটনার চূড়ান্ত নিন্দা করছি। অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। মিরাজুল ন্যাশনাল আর্বান হেলথ মিশনের কন্ট্রাকচুয়াল কর্মী। ঘটনায় সিএমওএইচ-এর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে প্রোগেসিভ ফার্মেসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের পক্ষ থেকে অরূপ পাৎসা, সাগ্নিক চৌধুরী জানিয়েছেন, অবিলম্বে অপরাধীকে গ্রেফতার করতে হবে। চিকিৎসকদের গায়ে হাত পড়লে তারা আন্দোলনে নেমে হাসপাতালে কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু ফার্মাসিস্টরা মার খেলে সবার মুখে কুলুপ। এটা মনে রাখতে হবে ফার্মাসিস্ট ছাড়াও হাসপাতাল চলবে না। এমন ঘটনা চলতে থাকলে ধর্মঘটের পথে হাঁটতে বাধ্য হবে ফার্মাসিস্টরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ক্যানসার আক্রান্ত বাবার শেষ ইচ্ছে, হাসপাতালেই বসল মেয়ের বিয়ের আসর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ