ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: বিউটি পার্লারের আড়ালে বেআইনি বিদেশি মদের আড়ত। লকডাউনের বাজারে যেখানে মদের জন্য শহরময় হাহাকার, সেখানে দক্ষিণ কলকাতার এই বিউটি পার্লার থেকেই ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপে মদের হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা। অপেক্ষাকৃত বেশি দামে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নজরদারি শুরু করেছিলেন রাজ্য আবগারি দপ্তরের কলকাতা দক্ষিণ শাখার গোয়েন্দারা। তল্লাশি চালিয়ে দক্ষিণ কলকাতার হাজরা রোডের উপর ওই ফ্যামিলি স্পা তথা বিউটি পার্লার থেকে উদ্ধার হল ১৫ লাখ টাকার বেআইনি বিদেশি মদ। গ্রেপ্তার হল পাচারচক্রের মাথা অনিল জয়সওয়াল।
আবগারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৬ মাস আগে ওই বিউটি পার্লার তথা স্পাটি পরিচালনা করতে শুরু করেন অভিযুক্ত অনিল জয়সওয়াল। অভিযোগ, বিভিন্ন উপায়ে তিনি জোগাড় করতেন বিদেশি মদ। বিদেশ থেকে দমদম বিমানবন্দর হয়ে কলকাতায় ঢোকার সময় সঙ্গে পাসপোর্ট থাকলেই একজন যাত্রী দু’টি করে ‘ডিউটি ফ্রি’ মদের বোতল নিয়ে আসতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন বিমান সংস্থার কর্মীরাও এই সুযোগ পান। অনিলের চক্রের লোকেরা বিদেশ ফেরত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই ‘ডিউটি ফ্রি’ মদ জোগাড় করে। সাধারণভাবে বিভিন্ন ছোট হোটেলের গুদামেই বেআইনি মদ লুকিয়ে রাখতেন অনিল। কিন্তু লকডাউনে বিউটি পার্লার বন্ধ হয়ে গেলে তিনি সেখানেই বিদেশি মদের বোতল লুকিয়ে রাখেন।
গোয়েন্দাদের কাছে খবর, শহরের বিভিন্ন জায়গার ক্রেতারা অনিলের লোকেদের সঙ্গে ফোন ও হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতেন। এমনকী, কোনও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়েছিল বলেও সন্দেহ গোয়েন্দাদের। খবর পেলেই বিউটি পার্লার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আড়ালে মদের বোতল নিয়ে চক্রের লোকেরাই পৌঁছে যায় ক্রেতার কাছে। লকডাউনে অনেক বেশি দাম দিয়েই বিদেশি মদ কেনেন ক্রেতারা।
মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আবগারি দপ্তরের গোয়েন্দারা ক্রেতা সেজে ফাঁদ পাতেন। তাঁদের ফাঁদেই ধরা পড়েন ওই ব্যক্তি। ধরা পড়ার পরও মুখ মাস্ক দিয়ে ঢেকে পালানোর চেষ্টা করছিলেন ওই ব্যক্তিটি। যদিও চক্রের মাথাকে গ্রেপ্তার করেছেন গোয়েন্দারা। উদ্ধার হয়েছে প্রায় দু’শো বোতল বেআইনি বিদেশি মদ। ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.