সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমে আক্রান্ত বাংলার কবি। রবিবার সকালে পুলিশি নিরাপত্তায় শহরে ফিরলেন শ্রীজাত। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘দেশজুড়ে যে অসহিষ্ণুতা চলছে, তারই বহিঃপ্রকাশ দেখলাম শিলচরে।’ এদিকে কবি শ্রীজাতের উপর হামলার ঘটনায় সমবেত প্রতিবাদের নামার আহ্বান জানিয়েছেন বর্ষীয়ান কবি শঙ্খ ঘোষ। ঘটনার নিন্দায় সরব সুবোধ সরকার, মন্দাক্রান্তা সেন-সহ শহরের বিশিষ্টজনেরা।
[ ‘বিতর্কিত’ কবিতা লিখে অসমে হিন্দুত্ববাদীদের রোষের মুখে শ্রীজাত]
অসমের ‘এসো বলি’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনে যোগ দিতে শিলচরে গিয়েছিলেন কবি শ্রীজাত। বিকেলে শহরের একটি হোটেলে ছিল অনুষ্ঠান।সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীজাতের বিরুদ্ধে নানা ধরনের পোস্ট করতে থাকেন হিন্দুত্ববাদীরা। শ্রীজাত জানিয়েছেন, প্রথামাফিক সংবর্ধনা জ্ঞাপনের পরই অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়েন কয়েজন মানুষ। তাঁদের কারও হাতেই অবশ্য কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা ছিল না। তাঁরা শুধু কবির কাছে জানতে চান, ‘অভিশাপ’ কবিতায় ‘কন্ডোম পরানো থাকবে, তোমার ধর্মে ত্রিশূলে.…’ লাইন তিনি কেন লিখেছেন? অনুষ্ঠানস্থলে কবিতার লাইন নিয়ে শ্রীজাতকে প্রশ্নের মুখে পড়তে দেখে অস্বস্তিতে পড়েন উদ্যোক্তারা। যাঁরা প্রশ্ন করেছিলেন, তাঁদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, এই ধরনের প্রশ্ন করার জায়গা এটা নয়। এরপরই উদ্যোক্তাদের সঙ্গে স্বঘোষিত হিন্দুত্ববাদীদের বচসা শুরু হয়ে যায়। ওই হোটেলে রীতিমতো ভাঙচুর চলে। রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত হোটেল থেকে বেরোতে পারেননি শ্রীজাত। শেষপর্যন্ত অসম পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বাতিল হয়ে যায় অনুষ্ঠান।
কোনওমতে রাতটা কাটিয়ে, রবিবার সকালে শহরে ফিরলেন কবি শ্রীজাত। দমদম বিমানবন্দর থেকে পুলিশি নিরাপত্তায় তাঁকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেয় প্রশাসন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। তবে শ্রীজাত বলেছেন, ‘দেশজুড়ে যেভাবে স্বাধীনচেতা কবি-সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে, তাতে তিনি আশঙ্কিত। তবে তাঁর কলম থেমে থাকবে না।’ এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে অসমে গিয়ে শ্রীজাতের কবিতা পাঠ করার কথা জানিয়েছেন কবি সুবোধ সরকার।
[ এবার বিবেকানন্দে আপত্তি ‘বামপন্থী’দের, প্রেসিডেন্সিতে জন্মজয়ন্তী পালনে বাধা]