অর্ণব আইচ: অর্চনা পালংদার খুনের ঘটনায় এখনও জারি ধরপাকড়৷ অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল হোটেলের ম্যানেজার জয়দেব যাদব৷ ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে৷ খুনের ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল সে৷ অভিযুক্তকে জেরা করে খুনের কিনারা করা সম্ভব বলেই আশা তদন্তকারীদের৷
[জেলে বন্দি গব্বর-রমেশকে টাকা পাঠাত কারা? তদন্তে গোয়েন্দারা]
গত সেপ্টেম্বরে আনন্দপুরের পশ্চিম চৌবাগা এলাকার খাল থেকে গৃহবধূ অর্চনা পালংদারের বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে পরিচয় জানা না গেলেও তদন্তে নেমে মৃতার বাড়ির খোঁজ পায় পুলিশ। মহিলার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা৷ পুলিশ জানতে পারে, দেহ উদ্ধারের একদিন আগেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অর্চনা। আগেও তিনি বেশ কয়েকবার বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ এনে এফআইআরও করেছিলেন অর্চনার স্বামী। এরপর অর্চনার মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলরাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই গৃহবধূর। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বলরামই এই খুনের সঙ্গে যুক্ত। বলরামের সন্ধানে ঝাড়খণ্ডেও যান তদন্তকারীরা। তারপরই মেলে অর্চনার প্রেমিক বলরামের দেহ।
[ক্রাইমের বই পড়ে স্বামীকে খুনের ছক অনিন্দিতার!]
তাতেই নয়া মোড় নেয় অর্চনা পালংদার হত্যাকাণ্ড৷ পুলিশ জানতে পারে ১৯ সেপ্টেম্বর অর্চনাকে নিয়ে নিউ মার্কেটের একটি হোটেলে গিয়েছিল বলরাম। হোটেলেই অর্চনাকে খুন করা হয়৷ ট্যাক্সিতে চাপিয়ে দেহ লোপাট করে দেওয়া হয় অর্চনার৷ এরপর আত্মঘাতী হয় বলরাম৷ যে ট্যাক্সিতে দেহ পাচার হয়, সেই গাড়ির চালক ছিল বিজয়৷ এই তথ্য হাতে আসার পর ওই হোটেলেরই এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ দিনকয়েক পর পুলিশের জালে ধরা পড়ে ট্যাক্সিচালক বিজয়৷ তাকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ তবে খুনে সহযোগিতা থেকে দেহ লোপাট অর্থাৎ গোটা ঘটনার সঙ্গে জড়িত হোটেল ম্যানেজার জয়দেবেরই কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না তদন্তকারীরা৷ খুনের ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় সে৷ অবশেষে রবিবার রাতে ঝাড়খণ্ডে পুলিশের জালে ধরা পড়ে জয়দেব৷ তাকে জেরা করেই অর্চনা পালংদার হত্যা কাণ্ডের কিনারা হওয়া সম্ভব বলেই আশা পুলিশের৷