রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মাধ্যমিকের প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে এবার পথে নেমে প্রতিবাদ বিজেপির। প্রথম পরীক্ষা থেকেই শিরোনামে এবারের মাধ্যমিক। কারণ, ধারাবাহিক প্রশ্নফাঁস। প্রথম দিন থেকে ষষ্ঠ দিন পর্যন্ত প্রতিদিনই পরীক্ষা শুরুর আধ ঘণ্টার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল প্রশ্নপত্র। সপ্তম দিনে পরীক্ষা শুরুর দশ মিনিটের মধ্যে ফের প্রশ্ন ফাঁসের খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে জানা যায় যে সোশ্যাল সাইটে প্রকাশিত প্রশ্নপত্রটির সঙ্গে আসল প্রশ্নের মিল নেই। এই প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের প্রতিবাদেই বৃহ্স্পতিবার পথে নামল বিজেপি যুব মোর্চা।
[তথাগত রায়ের টুইট বিতর্কে মুখ খুলতে নারাজ দিলীপ ঘোষ]
পরপর ছদিনই পরীক্ষার শুরুর সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় কার্যত কোণঠাসা রাজ্য সরকার। প্রশ্নফাঁস রুটিন ঘটনা হয়ে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করেছে শিক্ষা মহল৷ নজিরবিহীন এই ঘটনায় যথেষ্ট বিরক্ত এবং হতাশ তাঁরা৷ সূত্রের খবর, প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে যথেষ্ট চাপে পড়েছেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়৷ পর্ষদ সূত্রে খবর মিলেছে, ২২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক শেষ হওয়ার পর সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন তিনি৷ এরই মাঝে প্রশ্ন ফাঁসের প্রতিবাদে পথে নামল বিজেপি যুব মোর্চা। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মিছিলে পা মেলান বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিত সরকার ও কেন্দ্রীয় সম্পাদক সৌরভ শিকদার। প্রথমে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তা ধরে মিছিল শুরু করে যুব মোর্চার কর্মীরা। সেখানে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এরপর কলেজস্ট্রিটে অবরোধের চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। অভিযোগ সেই সময় বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২ জনকে।
[এপিডিআরের যুদ্ধবিরোধী মিছিলে দুষ্কৃতী হানা, ধর্মতলায় ধুন্ধুমার]
এরপরই এই গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সেন্ট্রাল এভিনিউ-এর কলুটোলা মোড়ের কাছে অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। ফের সেই অবরোধ তুলতে, আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফের সেখানও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। দীর্ঘ প্রায় আধ ঘণ্টা পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে চলে ধস্তাধস্তি। বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিত সরকারের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলেন তাঁরা। বিনা কারণে তাদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা।