BREAKING NEWS

১২ আশ্বিন  ১৪৩০  শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

মাদ্রাসায় নিয়োগের দাবি, মেয়ো রোড থেকে অনশনকারীদের তুলে দিল পুলিশ

Published by: Tanumoy Ghosal |    Posted: March 29, 2019 3:42 pm|    Updated: March 29, 2019 9:45 pm

Police removes Madrasa protesters by force

দীপঙ্কর মণ্ডল: আশঙ্কা ছিলই। মাদ্রাসায় নিয়োগের দাবিতে মেয়ো রোডে যাঁরা অনশন করছিলেন, তাঁদের জোর করে সরিয়ে দিল পুলিশ। মহিলা-সহ বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর আতঙ্কে কার্যত ছত্রভঙ্গ হয়ে যান আন্দোলনকারীরা। 

[ আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে গলল বরফ, অনশন প্রত্যাহার এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের]

নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ধর্মতলা মেয়ো রোডেই অনশনে বসেছিলেন এসএসসির কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী। অনশন চলে ২৯ দিন। শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাসে বৃহস্পতিবার অনশন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এসএসসি-র চাকরিপ্রার্থীরা। একই পথে হেঁটে মাদ্রাসায় নিয়োগের দাবিতে বুধবার থেকে মেয়ো রোডে অনশনে বসেছিলেন কয়েকশো কর্মপ্রার্থী। তাঁদের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে অনশন মঞ্চে হাজির হয় প্রচুর পুলিশ। আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু, সেই চেষ্টা সফল হয়নি। শুক্রবার ভোরে ফের মেয়ো রোডে গিয়ে জোর করে অনশনকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। ঘটনার আকস্মিকতায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনশনকারীরা। শহরের বিভিন্ন সংস্থার যোগাযোগ করেন তাঁরা। পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদে ধর্মতলায় জমায়েতের ডাক দিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা এপিডিআর।

কিন্তু, মাদ্রাসায় কর্মপ্রার্থীরা অনশনে বসেছিলেন কেন? আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে বহু পদ শূন্য, অথচ নিয়োগ হচ্ছে না। রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে না।

[ আরও পড়ুনখিদিরপুরে শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন,৬ বছরের বিচারশেষে মৃত্যুদণ্ড দোষীর ]

মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের এই অনশনের সমর্থনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নং গেটের সামনে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান এসএফআই-এর সদস্য, সমর্থকরা৷ শুক্রবার বিকেলে বেশ খানিকক্ষণ ধরে চলে তাঁদের বিক্ষোভ৷ আগামী বুধবার টিপু সুলতান মসজিদ থেকে নবান্ন পর্যন্ত মিছিলে হাঁটবেন সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সদস্যরা৷ওইদিনই ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রীর সভা৷

JU-AGITATION

সংগঠনের সভাপতি মহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কারও বিরোধ নেই৷ প্রধানমন্ত্রীর সভা চলাকালীন আমরা মিছিল করব না৷ পুলিশের অনুমতি না মিললেও, বিক্ষোভ মিছিল হবে৷’ পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী নিলুফা হক বলেন, ‘পুলিশ ঘুমন্ত অনশনকারীদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে৷ জোর করে মুচলেকা লিখিয়ে কয়েকজনকে বাসে তুলে দেওয়ার হয়েছে৷ আমরা এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হব৷’ এই আন্দোলনও যে প্রশাসনকে খুব একটা স্বস্তি দেবে না, তা বেশ বুঝিয়েই দিলেন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চাকরিপ্রার্থীরা৷

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে