স্টাফ রিপোর্টার: রাতভর ভোগান্তির পর বুধবার সকাল থেকে মেট্রো পরিবেষা স্বাভাবিক। দমদম ও কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন থেকে দিনের প্রথম মেট্রো নির্দিষ্ট সময়েই ছেড়েছে। দুপুর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবায় সেই অর্থে কোনও বিঘ্ন ঘটেনি। কিন্তু মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত মেট্রো সমস্যায় যাত্রীদের চূড়ান্ত নাজেহাল হতে হয়। গোটা ঘটনায় কলকাতা মেট্রো রেলকর্মীদের গাফিলতি দেখছেন মেট্রোর চিফ ইঞ্জিনিয়ার।
মেট্রো ভোগান্তি এখন নিত্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যাত্রীদের কাছে। কখনও আত্মহত্যার ঘটনা, কখনও রেকে গোলযোগ, কখনও সিগন্যাল পয়েন্টে ত্রুটি। কিন্তু এক দিনে পরপর তিনটি ঘটনায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হল। শ্যামবাজারে আত্মঘাতী ছাত্রী। সেন্ট্রালে যান্ত্রিক ত্রুটি। ময়দান স্টেশনে লাইনচূত খালি রেক। যার জেরে সন্ধ্যার পর থেকে যাত্রীদের অবস্থা শোচনীয় হয়। সেন্ট্রাল থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আপ-ডাউনের যাত্রীরা নাজেহাল অবস্থায় পড়েন। বিশেষত অফিস ফেরত যাত্রী আর ছুটির দিনে ঘুরতে বেরোনো মানুষজনের অবস্থা তথৈবচ। রাত পর্যন্ত স্টেশনে অপেক্ষা করেও মেট্রো পাননি যাত্রীরা। অভিযোগ, মেট্রোর তরফ থেকে কোনওরকম ঘোষণা করা হয়নি। পর্যবেক্ষণে গিয়ে একাধিক ত্রুটি নজরে আসে মেট্রো কর্তৃপক্ষের। এই ঘটনায় চিফ ইঞ্জিনিয়ার পরমেশ্বর বলেছেন, “কর্মীর গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে।” মেট্রো রেলের আধিকারিকদের থেকে জানা গিয়েছে, ময়দানে ওয়াই সাইডিংয়ে ঘোরানোর সময়ই লাইনচ্যূত হয় রেক। এই ঘটনায় প্যানেল অপারেটরের গাফিলতি নজরে এসেছে। চার সদস্যের কমিটি গঠন করে তদন্ত চলছে। মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজারও জানিয়েছেন, বিভ্রান্তিমূলক খবরও ছড়ানো হয়েছিল। কে বা কারা এই খবর ছড়িয়েছে, তার উপযুক্ত তদন্ত হবে।
কিন্তু রাত সাড়ে তিনটে পর্যন্ত রেক সরাতে সময় লেগে যায় মেট্রো কর্মীদের। গভীর রাত পর্যন্ত মেট্রো না পেয়ে বহু সংখ্যক যাত্রী ট্রেন, বাস করে বাড়িতে ফেরেন। এই সুযোগে স্মার্ট ক্যাবগুলি অত্যধিক ভাড়া নেয়। ৪০০ টাকার ভাড়া পৌঁছয় ৯০০ টাকায়। মেট্রোর দৈনন্দিন সমস্যা কবে মিটবে, সেটাই প্রশ্ন যাত্রীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.