Advertisement
Advertisement
প্রদীপ ভট্টাচার্য কংগ্রেস

সোমেন মিত্রর জায়গায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হতে পারেন প্রদীপ ভট্টাচার্য! তুঙ্গে জল্পনা

সরকারিভাবে ঘোষণা হতে পারে শীঘ্রই।

Pradip Bhattacharya to be the next WBPCC cheif, says Sources
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 28, 2020 5:01 pm
  • Updated:August 28, 2020 5:01 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমেন মিত্রর প্রয়াণে বঙ্গ কংগ্রেসে বড়সড় শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস নেতাদের দাবি, ছোড়দার অভাব কোনওদিন পূরণ হবে না। কিন্তু তা বলে দলের কাজ তো থেমে থাকে না। কংগ্রেসের অন্দরে এখন একটাই প্রশ্ন, দলের পরবর্তী রাজ্য সভাপতি কে হবেন? এতদিন লড়াইয়ে অনেকের নামই ভেসে আসছিল। তালিকায় ছিলেন অধীর চৌধুরি, আবদুল মান্নান, শুভঙ্কর সরকারদের মতো নেতারা। কেউ কেউ মনোজ চক্রবর্তী, নেপাল মাহাতোদের নামও ভাসিয়ে দিচ্ছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত এই লড়াইয়ে এগিয়ে গিয়েছেন প্রদীপ ভট্টাচার্য (Pradip Bhattacharya)। শোনা যাচ্ছে, প্রদীপের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ প্রায় পাকা। শুধু সরকারিভাবে ঘোষণার অপেক্ষা।

সোমেন মিত্রর মৃত্যুর পর প্রশ্নাতীতভাবেই বঙ্গ কংগ্রেসের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা অধীর চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury)। কিন্তু অধীর এখন দিল্লিতে। সর্বভারতীয় স্তরে বড় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তাই তাঁর পক্ষে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়াটা একপ্রকার অসম্ভব। তাছাড়া রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) তাঁকে সর্বভারতীয়স্তরে ব্যবহার করতে চান। সিনিয়র নেতাদের মধ্যে বাকি রইলেন আবদুল মান্নান। তিনি আবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। আর এর আগে তৃণমূলের সঙ্গে জোট চেয়ে হাইকম্যান্ডকে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কংগ্রেস এখন তৃণমূলের সঙ্গে নয়, বরং বামেদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চাইছে। আর প্রদীপ ভট্টাচার্য সোমেনের মতোই বামেদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য। আসলে বামেদের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়ায় শুরু থেকেই সোমেনের পাশে ছিলেন প্রদীপ। তাছাড়া রাজ্যে কংগ্রেসের এই দুর্দশার দিনে তাঁর অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাতে পারবে দল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘পরীক্ষা নিয়ে ভোট রাজনীতি করা হচ্ছে’, NEET-JEE ইস্যুতে কেন্দ্রকে নিশানা মমতার]

কংগ্রেস সূত্রের খবর প্রদীপের প্রদেশ সভাপতি হওয়া চূড়ান্ত। ইতিমধ্যেই দিল্লি উড়ে গিয়ে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীদের সঙ্গে আলোচনা করে এসেছেন তিনি। আসলে দীর্ঘদিন সাংসদ থাকার দরুন দিল্লিতে প্রদীপের বেশ ভাল যোগাযোগ আছে। তাছাড়া, প্রদীপ এর আগে ২০১১ থেকে ১৪ পর্যন্ত প্রদেশ সভাপতি ছিলেন। একসময় লোকসভার সাংসদ হয়েছেন। বিধায়ক হয়েছেন। এখন রাজ্যসভার সাংসদ। স্বাভাবিকভাবেই অভিজ্ঞতা এগিয়ে দিচ্ছে তাঁকে। কিন্তু তাঁর মূল সমস্যা হল, আপাতত তেমন জনভিত্তি নেই। দলের কর্মীদের মধ্যেও জনপ্রিয় নন তেমন। তাছাড়া বয়সটাও বেশি। এখন দেখার এই ‘বৃদ্ধ’ প্রদীপের আলোয় কংগ্রেসের সংসারে আলো আসে নাকি।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ