Advertisement
Advertisement
TET protest

অনশনে ২০১৪ TET উত্তীর্ণরা, তবু ‘নিয়ম ভেঙে নিয়োগ নয়’, সাফ জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন রাজনৈতিক মদতপুষ্ট অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির।

Primary education board president holds press meet after TET protest | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:October 18, 2022 1:16 pm
  • Updated:October 18, 2022 3:06 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাস্তায় অনশনে ২০১৪ সালের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট (Primary TET) উত্তীর্ণরা। কিন্তু নিয়ম ভেঙে তাঁদের নিয়োগ করা সম্ভব নয়। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। তাঁর দাবি, “এরা কেউ প্যানেলভুক্ত হননি। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের দাবি আইনসম্মত নয়।” একইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির একান্ত অনুরোধ, চলতি বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিন আন্দোলনকারীরা। তবে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ইন্ধন দিচ্ছে বলে দাবি তাঁর। 

২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নট-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, দুবার ইন্টারভিউ দিয়েও নিয়োগপত্র মেলেনি। নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নেবেন না। সরাসরি নিয়োগ দিতে হবে তাঁদের। এই দাবিতে সল্টলেকের রাস্তায় রাতভর অবস্থান করেছেন তাঁরা। সকাল থেকে শুরু করেছে অনশন। গতকাল অর্থাৎ সোমবার আন্দোলনকারীদের চার প্রতিনিধি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি জমা করেন। তবে তাঁদের সেই দাবি মানা হবে না বলে এদিন সাফ জানালেন গৌতম পাল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মাস্টারস্ট্রোক! মালবাজার বিপর্যয়ে উদ্ধারকারী ৭ জনকে সরকারি চাকরি, আর্থিক পুরস্কার দিলেন মমতা]

এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি দাবি করেন, “১৬ হাজার ১০১ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট উত্তীর্ণ রয়েছেন। আন্দোলনকারীরা দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েও প্যানেলভুক্ত হননি। তাঁদের নিয়োগ দিতে হলে ২০১৬ সালের আইন অমান্য করতে হবে। পর্ষদ নিয়ম ভাঙবে না।” আইন মেনেই নিয়োগ হবে বলে দাবি করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। গৌতমবাবুর আবেদন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিন আন্দোলনকারীরা। বছরে দুবার টেট পরীক্ষা হবে। দ্রুত সমস্ত নিয়োগ সম্পন্ন হবে। তিনি আরও জানান, নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা আবেদন করতে পারবে। তবে ২০১২ বা ২০১৪ সালের চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেরই বয়স ৪০ বছর পেরিয়েছে। ফলে আবেদনের বয়সসীমা পার হয়ে গিয়েছে। বয়সসীমার বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এবিষয়েও পর্ষদের কিছু করার নেই, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন পর্ষদের সভাপতি। 

Advertisement

এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির আরও অভিযোগ, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন রাজনৈতিক মদতপুষ্ট। কোনও কোনও রাজনৈতিক নেতা এই আন্দোলনকে উসকে দিচ্ছে। তবে পর্ষদ কোনও চাপের সামনে মাথা নত না করে নিয়ম মেনে স্বচ্ছ নিয়োগ করবে বলে স্পষ্ট জানান গৌতম পাল। ফলে করুণাময়ীর রাস্তায় আন্দোলনকারীদের ভবিষ্যৎ বিশ বাঁও জলেই রইল। তাঁরা এবার কী করে, সেদিকে তাকিয়ে শিক্ষামহল। 

[আরও পড়ুন: ৪১.৫ কোটি কমার পরেও ভারতই বিশ্বের সর্বাধিক দরিদ্রের দেশ, রিপোর্ট রাষ্ট্রসংঘের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ