Advertisement
Advertisement
নরেন্দ্র মোদি

বেলুড় মঠে CAA’র পক্ষে জোর সওয়াল মোদির, বিঁধলেন বিরোধীদের

বেলুড় মঠে 'রাজনৈতিক বক্তব্য' মোদির, অসন্তুষ্ট ছাত্রসমাজের একাংশ।

Prime Minister Narendra Modi louds CAA in Belur math today
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 12, 2020 10:15 am
  • Updated:January 12, 2020 10:37 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেলুড় মঠে দাঁড়িয়ে ফের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) কর্মভূমিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে যুবসমাজের সমর্থন আদায়ের যথাসাধ্য চেষ্টা করলেন। বোঝানোর চেষ্টা করলেন, প্রতিবেশী দেশগুলির সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার জন্য এই আইন কতটা প্রয়োজনীয় ছিল। একই সঙ্গে তিনি এই আইনের বিরোধিতা করায় বিঁধলেন বিরোধী শিবিরকে।তবে, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবে দেগে দিচ্ছেন অনেকে। বেলুর মঠে দাঁড়িয়ে, এই বক্তব্য কতটা গ্রহণযোগ্য, সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে ছাত্রসমাজের একাংশ।

modi-mantra
এদিন বেলুড়ের মঞ্চে মোদি বলেন, “এখন দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রচুর আলোচনা চলছে। এই আইন কী? এটা আনার এত প্রয়োজনীয়তা কী? অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন আছে। অনেক তরুণ সজাগ। আবার অনেকে আছেন, যাঁরা গুজবের শিকার। এদের সঠিক রাস্তায় আনা, এদের বোঝানোটাও আমাদের কর্তব্য। আজ যুব দিবসে দেশের যুবকদের, বাংলার যুবসমাজকে এই পবিত্র জমিতে দাঁড়িয়ে বলতে চাই, এমন নয় যে এই আইন আমরা রাতারাতি এনেছি। আমারা সবাই জানি, অন্যান্য দেশের যে কোনও ব্যক্তি যে ভারতে বিশ্বাস করে, ভারতের সংবিধানে ভরসা রাখে, তাঁদের জন্য এই আইন। আমি আরও একবার বলছি, নাগরিকত্ব আইন, নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নয়। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার মঞ্চ। আর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন শুধু আগের আইনের সংশোধনী মাত্র। এটা একটা সুযোগ, যাঁদের উপর শুধু দেশভাগের পর শুধু ধর্মবিশ্বাসের জন্য অত্যাচার হয়েছে, বাঁচা মুশকিল হয়ে গিয়েছে, মা-বোনেদের সম্মান অসুরক্ষিত হয়ে গিয়েছে তাঁদের ন্যায়বিচার দেওয়ার।”

Advertisement

modi-Vive

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘লড়াই চালিয়ে যাও, পাশে আছি’, ঐশীর সঙ্গে দেখা করে অনুপ্রেরণা দিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী]

বেলুড়ের সভা থেকে বিরোধীদেরও তীব্র কটাক্ষে বিঁধেছেন মোদি। তিনি বলছেন,”মহত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে, সেসময়ের সব বড় নেতাই মানতেন, ভারতের উচিত সেইসব মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়া যাঁদের উপর পাকিস্তানে অত্যাচার হয়। এবার আপনারাই বলুন, এদের কি আমাদের পাকিস্তানে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া উচিত? নাকি, আমাদের মতো সমানাধিকার দিয়ে নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত? বলা বাহুল্য, নিজের এই প্রশ্নের প্রত্যাশিত উত্তরই পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছাত্রছাত্রীরা প্রত্যেকেই প্রধানমন্ত্রীর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে সমর্থনমূলক ইঙ্গিতই দিয়েছেন। এরপরই কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গিয়েছেন, এই আইনে কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হবে না। মুশকিল হল, আপনারা যেটা বুঝতে পারছেন, সেটা আমাদের রাজনৈতিক নেতারা বুঝতে পারছেন না। আর নাহয়, বুঝেও না বোঝার ভান করছেন। কিছু লোক সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আজ যদি আমি এই আইন না আনতাম, তাহলে গোটা বিশ্ব জানতে পারত না পাকিস্তানে কীভাবে অত্যাচার হয়েছে সংখ্যালঘু মানুষের উপর। এবার পাকিস্তানকে জবাব দিতে, ৭০ বছরে ওঁরা সংখ্যালঘুদের উপর এত অত্যাচার কেন করেছে? মোদির এই বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই হাততালিতে ফেটে পড়ে সভামঞ্চ। বোঝা যায়, যে উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী এদিন সিএএ নিয়ে সওয়াল করলেন, সেটা সফলই হয়েছে।তবে, বেলুড়ের মতো আধ্যাত্মিক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বক্তব্যে অসন্তুষ্ট ছাত্রসমাজের একাংশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ