Advertisement
Advertisement
COWIN

ফোন নম্বরে বিভ্রাট, রাজ্যে টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকের সংখ্যা কম দেখাচ্ছে কেন্দ্রের অ্যাপ!

সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছে রাজ্য।

Problem in phone numbers, the number of recipients of the second dose of vaccine in the state is showing less in COWIN | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 11, 2022 8:06 pm
  • Updated:January 11, 2022 8:25 pm

মলয় কুণ্ডু : করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন যত সংখ্যক মানুষ, তার থেকে কম সংখ্যা দেখাচ্ছে টিকা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাপে। এই ফারাক দূর করতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছে রাজ্য।

Problem in phone numbers, the number of recipients of the second dose of vaccine in the state is showing less in COWIN

Advertisement

নবান্ন সূত্রে খবর, কলকাতা ও জেলাজুড়ে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন বহু মানুষ। কিন্তু বিশেষ কারণে দেখা যাচ্ছে দ্বিতীয় ডোজের যে গণনা হওয়া উচিত, সেটা হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকের সংখ্যা নথিভুক্ত হচ্ছে অ্যাপে (Cowin) । কিন্তু জেলায় জেলায় যখন খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে সেই সমস্ত ব্যক্তি দ্বিতীয় ডোজের টিকা ইতিমধ্যেই নিয়ে নিয়েছেন। এই সমস্যা দূর করতে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: WB Civic Polls: অতিমারী আবহে ভোট, রাজ্যের কাছে ৪ পুরনিগম এলাকার করোনার তথ্য চাইল হাই কোর্ট]

দেশের মধ্যে রাজ্য টিকাককরণে (Corona Vaccination) সেরা হলেও দেখা গিয়েছে প্রথম ডোজ যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ নিচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেননি। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন ছিল, টিকা রয়েছে যথেষ্ট। সব এলাকায় টিকা দেওয়াও হচ্ছে। তাই যাঁরা দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেননি, তাঁরা যেন দ্রুত টিকা নিয়ে নেন। প্রশাসনের তরফে জেলাশাসকদের বিষয়টি দেখার নির্দেশও দেওয়া হয়।

[আরও পড়ুন: Coronavirus: করোনার বাড়বাড়ন্তে খদ্দেরের দেখা নেই, রোজগারে নতুন পথ খুঁজছেন সোনাগাছির পতিতারা]

দ্বিতীয় ডোজ যাঁরা নেননি, তাঁদের সন্ধানে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা দেখেছেন, অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, অথচ সরকারি অ্যাপে তাঁদের নাম নথিভুক্ত হয়নি। কম-বেশি সব জেলাতেই প্রায় একই অভিজ্ঞতা। কেন এমন হচ্ছে? তা খতিয়ে দেখার পর প্রশাসনের ব্যাখ্যা, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে প্রথম ডোজ নেওয়ার সময় যে ফোন নম্বর দিয়ে কো-উইন অ্যাপে রেজিস্টার করা হয়েছিল, দ্বিতীয় ডোজে অনেক সময় অন্য নম্বর দিয়ে তা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে নিয়ম মতোই অ্যাপে দ্বিতীয় ডোজ নয়, নতুন করে প্রথম ডোজ নেওয়ারই তথ্য যুক্ত হয়েছে। ফলে দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকের সংখ্যাও কমে মনে হচ্ছে। সব ক্ষেত্রে এমন ঘটনা না ঘটলেও এমন বহু ঘটনা প্রশাসনের নজরে এসেছে। জেলাশাসকরাও মুখ্যসচিবকে বিষয়টি জানান। এ নিয়ে মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলার পর স্বাস্থ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়, তার ব্যবস্থা করতে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ