Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bank Fraud

নতুন পদ্ধতিতে ব্যাংক জালিয়াতি জামতাড়া গ্যাংয়ের, লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন অধ্যাপক

গ্রাহককে ফোন করে ব্যাংকের তথ্য জানার ক্ষেত্রে নয়া পদ্ধতি অবলম্বন করেছে জালিয়াতরা।

Professor looses more than 3 lakhs from bank account in fraud case, police warns customers about new way of fraud people | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 10, 2022 8:48 am
  • Updated:January 10, 2022 9:07 am

অর্ণব আইচ: এবার ব্যাংক জালিয়াতদের (Bank Fraud) ফাঁদে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Calcutta) এক অধ্যাপক। অর্থনীতির ওই অধ্যাপকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জালিয়াতরা। দক্ষিণ কলকাতার কসবা (Kasba)তিনি এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই ব্যাংক জালিয়াতি পিছনে জামতাড়া গ্যাং রয়েছে এবং এবার নতুন পদ্ধতিতে তারা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতাচ্ছে। শুরু হয়েছেস তদন্ত।

পুলিশ সূত্রে খবর, অ্যাপ (App) ডাউনলোড করানোর মাধ্যমে অধ্যাপকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৯৯০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জালিয়াতরা। এই ব্যাপারে অ্যাপ ডাউনলোড করানোর মতো পুরনো পদ্ধতি ব্যবহার করা হলেও অভিনবত্ব রয়েছে জালিয়াতদের ফোন করার কায়দায়। যেহেতু বহু মানুষ এখন ‘ট্রু কলার’-এ (True Caller) পরিচয় দেখে তবেই ফোন ধরেন, তাই জালিয়াতরা এখন এমন ব্যবস্থা করেছে যাতে ‘ট্রু কলার’-এ ভেসে ওঠে কোনও ব্যাংকের নাম।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মু্খ্যমন্ত্রীর পাঠানো ফলের ঝুড়ি পেয়ে আপ্লুত করোনা আক্রান্ত বিজেপি নেতা]

ওই অধ্যাপকের মোবাইলের ‘ট্রু কলার’-এও ভেসে উঠেছিল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নাম। তাই অধ্যাপক সহজে জালিয়াতদের কথা বিশ্বাসও করে নেন। এছাড়াও সরাসরি এটিএম কার্ড বা ক্রেডিট কার্ডের নম্বর বা তথ্য না চেয়ে জালিয়াতরা এবার তা ব্যাংকের ওয়েব পেজেই লিখে জানাতে বলে। কিন্তু সেই তথ্যও চলে আসছে তাদের হাতে। আর এটাই জালিয়াতদের নতুন পদ্ধতি। এর পিছনে জামতাড়া গ্যাংয়ের হাত রয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

লালবাজারের গোয়েন্দারা এ ব্যাপারে গ্রাহকদের সতর্ক করেছেন। ব্যাংকের ফোন পেলেও লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনও তথ্য জানাতে বারণ করা হচ্ছে। কারণ, সেসব ফোন ভুয়ো হতে পারে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই অধ্যাপকের অভিযোগ অনুযায়ী, শনিবার তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। যেহেতু ‘ট্রু কলার’এ ভেসে ওঠে ব্যাংকের শাখার নাম, তাই তিনি তার সঙ্গে কথাও বলেন। ব্যাংকের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তাঁর কেওয়াইসি (KYC) আপডেট করানোর নাম করে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলে। ওই ‘মিরর অ্যাপ’এর মাধ্যমে জালিয়াত দেখে নেয় তাঁর ব্যাংকের লেনদেন। ব্যাংকের ওয়েব পেজেই তাঁর ক্রেডিট কার্ডের তথ্য লিখে পাঠাতে বলা হয়।

[আরও পড়ুন: সাধারণ কামরায় ছানা নিয়ে যাতায়াত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, সোমবার থেকে নয়া নিয়ম রেলে]

তিনি তা লেখার সময় মিরর অ্যাপের মাধ্যমে সেই তথ্য সঙ্গে সঙ্গেই জেনে যায় জালিয়াতরা। এরপর থেকেই তাঁর কাছে দু’টি ব্যাংক থেকে মেসেজ আসতে শুরু করে। ১৫ মিনিটের মধ্যেই ন’টি লেনদেনের মাধ্যমে তাঁর দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা তুলে নেয় জালিয়াতরা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে কসবা থানার পুলিশ। জালিয়াতকে দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তারির আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ