সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বসন্তোৎসবের বিতর্কিত ছবি কাণ্ডে বহিরাগতদের ঘাড়েই দায় চাপালেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরি। তাঁর দাবি, পিঠে-বুকে অশ্লীল গালিগালাজ লিখেছে যারা তারা কেউই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী নয়। তারা হুগলি, চন্দননগর, চুঁচুড়ার বিভিন্ন কলেজের ছাত্র। তাদের বিরুদ্ধে সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই ছবিগুলি আদৌ সুপার ইম্পোজ করে তৈরি করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা যাচ্ছে।
রবীন্দ্রভারতীর বসন্তোৎসব যথেষ্ট বিখ্যাত। প্রায় মাসখানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে প্রবেশপত্র বিলির কাজ। কারণ, ওই একটিমাত্র দিনই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হয় প্রায় সকলকেই। তাই বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বসন্তোৎসবে শামিল হন। বৃহস্পতিবারও ওই নিয়মের অন্যথা হয়নি। তবে ঐতিহ্যমণ্ডিত অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়। বসন্তোৎসবের বেশ কয়েকটি ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে সমালোচনায় সরব বিভিন্ন মহল। কারণ, ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণীর পিঠে, বুকে লেখা রয়েছে গালিগালাজ। এমনকি, ভিডিওয় দেখা গিয়েছে অশ্লীল রবীন্দ্রসংগীতের তালে তালে নাচছে অনেকেই।
ওই ছবি নিয়ে নেটদুনিয়ায় শোরগোল পড়ার পরই নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্র সংসদের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে যাদের দেখা গিয়েছে তারা বহিরাগত। হুগলি, চন্দননগর, চুঁচুড়ার বিভিন্ন কলেজ থেকে বসন্তোৎসবে যোগ দিতে এসেছিল তারা।
বহিরাগতরা না হয় বুকে-পিঠে আবির দিয়ে গালিগালাজ লিখে আড়াল, আবডালে ছবি তুলেছিল। কিন্তু বিখ্যাত ইউটিউবার রোদ্দুর রায়ের বিকৃত রবীন্দ্রসংগীত বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাজানো সত্ত্বেও কেন বসন্তোৎসব পরিচালন কমিটির কানে পৌঁছল না? রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা জড়িত না থাকলে কি শুধুমাত্র বহিরাগতদের পক্ষে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করা সম্ভব? তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অবশ্য এই প্রশ্নগুলির উত্তর পাওয়া যাবে না। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিংয়ের হাওয়ায় গা ভাসাতে গিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিকতার অবনমন হচ্ছে বলেই মত বিশিষ্টদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.