দেবব্রত মণ্ডল: সাজানো রেস্তরাঁয় ঝকঝকে প্লেটের উপর রাখা মাংস। সুস্বাদু রান্না। দেখলেই জিভে জল। ঘ্রাণে অর্ধ ভোজন। আসল কাজটিতেই বা আর বিলম্ব কেন! এ যখন মুদ্রার একটা দিক, তখন অন্যদিকে তাকালে চমকে উঠতে হয়। মাংসের উৎস জানলে হয়তো তা মুখে তোলারও রুচি থাকবে না কারও। কারণ সাজানো প্লেটের মাংস আসলে ভাগাড়ের মরা পশুরই। বজবজে এই চক্রের পর্দাফাঁস হতেই শহরে চাঞ্চল্য।
[ বিজেপি নেত্রীর মেয়েকে রাস্তায় ফেলে মারধর, অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে ]
স্বাভাবিক নিয়মেই মৃত পশু ফেলে দেওয়া হয় ভাগাড়ে। তারপর তাই-ই ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে নেওয়া হত। ছোট ছোট পিস করে পাঠিয়ে দেওয়া হত শহরের রেস্তরাঁয়। বৃহস্পতিবার এরকমই একটি চক্রের দুই সদস্যকে হাতেনাতে পাকড়াও করলেন বজবজের ময়লা ডিপোর স্থানীয় বাসিন্দারা। চক্রের মূল পাণ্ডা নিমাই ও সানি। গণ্ডগোলের আঁচ বুঝেই তারা পালিয়ে যায়। তবে ধরা পড়ে যায় ট্যাক্সি ড্রাইভার শ্যামলাল। তার মাধ্যমেই ভাগাড়ের মরা পশুর মাংস পৌঁছে যায় রেস্তরাঁয়। কখন ভাগাড়ে পশু ফেলা হচ্ছে তার খবর দিত বজবজ পুরসভার কর্মী রাজা মল্লিক। তাকেও ধরে ফেলে উত্তেজিত জনতা।
[ মহিলাকে জখম করে খাঁচাবন্দি চিতা, লালগড়ের ঘটনা এড়াল শিলিগুড়ি ]
বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল এই চক্র। এর আগে মরা মুরগি ফর্মালিনে ডুবিয়ে বিক্রির অভিযোগে শোরগোল পড়েছিল গোটা শহরে। তারপরই সামনে এল এই মরা পশুচক্র। স্থানীয় বাসিন্দাদেরই প্রথমে সন্দেহ হয়। অভিযুক্তদের গতিবিধির উপর নজর রাখতেই পুরো ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়।বৃহস্পতিবার রাজা ও ট্যাক্সি ড্রাইভারকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন বাসিন্দারা। গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। উত্তম-মধ্যম দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। পরে তাদের তুলে দেওয়া হয় বজবজ থানার পুলিশের হাতে। জানা যাচ্ছে, ধৃত দুই অভিযুক্তই নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুই মূল পাণ্ডাকে পাকড়াও করার চেষ্টায় পুলিশ। পুরো ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ পুরমন্ত্রীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.