Advertisement
Advertisement

Breaking News

Congress

বাম-কংগ্রেস জোট আরও মজবুত করাই লক্ষ্য, জানুয়ারিতে রাজ্যে আসতে পারেন রাহুল বা প্রিয়াঙ্কা

জোটের মুখ কি অধীর? এখনও জারি ধোঁয়াশা।

Rahul Gandhi or Priyanka Gandhi may come to West Bengal on January to observe election preparation | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 17, 2020 9:50 pm
  • Updated:December 17, 2020 9:51 pm

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বছর ঘুরলেই বঙ্গ ভোটের ঢাকে কাঠি পড়বে। এই ভোট যে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড হালকাভাবে নিচ্ছে না বৃহস্পতিবার সেই ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের এআইসিসি নিযুক্ত পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ। নতুন বছরের প্রথমেই রাহুল অথবা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাজ্যে আসবেন বলে জানান তিনি। এদিন রাজ্যের ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শহরে আসেন জিতিন। দফায় দফায় বৈঠক করেন প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্বের সঙ্গে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে বামেদের সঙ্গে জটিলতা কাটিয়ে জোট প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেন।

বুধবার রাতেই শহরে আসেন তিনি। পরদিন প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, জেলা সভাপতি ও জেলার পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে দফায়-দফায় বৈঠক করেন। সংগঠন নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি বামেদের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া নিয়ে নেতৃত্বের মনোভাব বোঝারও চেষ্টা করেন। সেইসঙ্গে জোট নিয়ে হাইকম্যান্ডের মনোভাবও বিধান ভবনের কর্তাদের কাছে স্পষ্ট করে দেন জিতিন প্রসাদ। হাইকম্যান্ড যে বামেদের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনের পক্ষে এবং জোট এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষেই রয়েছে তা জানিয়ে দেন। তবে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরিকে জোটের মুখ করে ভোটেযুদ্ধে যাওয়ার দাবি নিয়ে বিধানভবনের একাংশ দাবি জানালেও বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে এআইসিসির এই সদস্য মুখ খোলেননি বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ‘বিশ্বাসঘাতক, নিন্দার ভাষা নেই’, দলত্যাগী শুভেন্দু-জিতেন্দ্রকে কড়া আক্রমণ সৌগত রায়ের]

শুক্রবার ফের জেলা সভাপতি, জেলায় নিযুক্ত পর্যবেক্ষক ও গণসংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সেইসঙ্গে কিছু কংগ্রেস কর্মীর সঙ্গেও আলাদা আলাদা করে কথা বলার কথা তাঁর। নিচুতলার কর্মীদের মনোভাব বুঝতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে বিধানভবনের একাংশ। এদিন রাহুল বা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রাজ্যে আসার বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটেন তিনি। তবে শীর্ষনেতৃত্ব রাজ্যে আসবেন বলে সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যকে আশ্বস্ত করেন। তিনি জানান, শীর্ষনেতৃত্ব বাংলার ভোটকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখছে। বামেদের সঙ্গে কথা বলে জানুয়ারি মাসের মধ্যে আসনরফা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি জানান, হাইকম্যান্ডও বুঝতে পারছে তৃণমূ্ল রাজ্যে রাজনৈতিক মাটি হারাচ্ছে। অতীতে তৃণমূল যে দল ভাঙানোর খেলা খেলেছিল এখন বুমেরাং হয়ে তাঁদের ঘরে ফিরছে। কংগ্রেস ও বামেদের দুর্বল করাই ছিল রাজ্যের শাসকদলের মূল লক্ষ্য। আর যাকে সামনে রেখে দল ভাঙিয়েছিল তাঁরাই এখন অন্যদলে নাম লেখাচ্ছে বলে খোঁচা দেন প্রদেশ সভাপতি। তাঁর দাবি, তৃণমূলের প্রতি মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে। এটা বুঝতে পেরেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সর্বশক্তি দিয়ে রাজ্য দখলের জন্য ঝাপিয়েছে।

[আরও পড়ুন : বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার পর এবার তৃণমূলের সব পদও ছাড়লেন শুভেন্দু]

জোট প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া, বামেদের সঙ্গে কথা হয়েই রয়েছে। ভোট ঘোষণার আগেই আসনরফা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে শাসকদলকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূল প্রশান্ত কিশোর নির্ভর হয়ে পরছে। কোনও বানিজ্যিক সংস্থাকে নিয়ে এসে ভোটে লড়াই যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে দুর্ভাগ্যজনক।” তবে নেতারা বিজেপিতে গেলেও নিচুতলার তৃণমূল কর্মীরা বাম এবং কংগ্রেসের দিকে আসবে বলে দাবি করেন প্রদেশ সভাপতি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ