Advertisement
Advertisement

সাবধান! ট্রেনের কামরায় পোস্টার সাঁটালেই ঘোর বিপদ

দৃশ্যদূষণ রোধে কী উদ্যোগ নিচ্ছে রেল?

Railways to take action against postering
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:December 7, 2018 9:25 am
  • Updated:December 7, 2018 9:25 am

সুব্রত বিশ্বাস: কপালের পাথর সরানোর জন্য জ্যোতিষীর সন্ধান যেমন পাবেন, তেমনই শারীরিক অক্ষমতা বাড়ানোর দাওয়াইয়ের হদিশও মিলবে একই দেওয়ালে। পাশাপাশি হাতে কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আয়ের সুলুক সন্ধান সঙ্গে সিকিউরিটি গার্ডের লোভনীয় চাকরি, অথবা সম্ভ্রান্ত পরিবারের সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে আয়ের সুযোগের লোভনীয় অফার। পুরো প্যাকেজ একসঙ্গে মিলে যাচ্ছে লোকাল ট্রেনের কামরার দেওয়ালে। সেখানেই এই জাতীয় পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ। হাওড়া, শিয়ালদহ, খড়গপুর সব ডিভিশনের লোকাল ট্রেনেই দেওয়ালে এমন বিসদৃশ্য বিজ্ঞাপন। যাত্রীদের কাছে এই পোস্টার যতটা আকর্ষণীয় মনে হয়, তার থেকে আরও অসহনীয় বিজ্ঞাপনে লেখনীর রুচিবোধ।

[তোলা চেয়ে জেল থেকেই ব্যবসায়ীকে হুমকি ফোন গব্বর-রমেশের]

Advertisement

আর্থিক অসঙ্গতিপূর্ণ সংস্থাগুলি ট্রেনের কামরায় এই ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। বহু যুগ আগের থেকে এই রেওয়াজ চলে আসছিল। অধিক যাত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ট্রেনের কামরাকে বেছে নেয় বিজ্ঞাপনদাতারা। নয়ের দশকের মাঝামাঝি পূর্ব রেল এইসব বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে ঠিকানা ধরে আইনি নোটিস পাঠায় ও রেলের কামরায় প্রচারের জন্য নির্ধারিত ভাড়া দাবি করে মোটা অঙ্কের টাকা চায়। এর পর দীর্ঘ সময় ধরে লোকাল ট্রেনের কামরায় পোস্টার সাঁটাতে ভয় পেয়ে যান প্রচারকরা।

Advertisement

এর পর আবার শুরু হয়ে যায় পোস্টারের বন্যা। দীর্ঘ দিন ধরে চলা এমন পদ্ধতিতে নোংরা হতে থাকে কামরার পরিবেশ ও দেওয়াল। চলতি বছরে রেল পরিচ্ছন্নতার দিকে একাধিক পদক্ষেপ করে। লক্ষ্য করে এই পোস্টারেই নোংরা হচ্ছে কামরার দেওয়াল। পোস্টার সাঁটার রেওয়াজ বন্ধ করতে রেল হাওড়া, শিয়ালদহে প্রচার চালায়। ধরা পড়লে হাজতবাস। সঙ্গে প্রচারমূলক পোস্টারের থেকে নাম ঠিকানা নিয়ে আরপিএফদের নামানো হয় মাঠে। সংস্থার মালিক বা ব্যক্তিকে ধরে জরিমানা ও হুঁশিয়ারির পালা শুরু হয়। এর পরই কিছুদিন এই পোস্টার সাঁটানোর পালা বন্ধ থাকে। কিন্তু ক’দিন। তারপর আবারও চলছে জোর কদমে পোস্টার সাঁটানোর পালা। পূর্ব রেল এই বদভ্যাস বন্ধ করতে এবারও অভিযান শুরু করতে চলেছে।

[কেষ্টপুরে ভেজাল তেলের কারখানার হদিশ, গ্রেপ্তার ১]

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, আগের মতো অভিযান আবার শুরু করা হবে। কামরা নোংরা করা চলবে না। এজন্য জরিমানা ও সাজার ভাবনা চলছে। আরপিএফ ও কমার্শিয়াল বিভাগ এক সঙ্গে অভিযান চালাবে পোস্টারের ঠিকানা ধরে। সম্প্রতি আইসিএফ থেকে বেশ কিছু আধুনিক মানের রেক এসেছে। এই অভ্যাস বন্ধ না হলে ওই রেকও নোংরা হবে একইভাবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ