Advertisement
Advertisement

Breaking News

আতঙ্ক গ্রাস করেছে সাধারণ মানুষকে, অন্ধকার ও বৃষ্টিতে বাধাপ্রাপ্ত উদ্ধারকার্য

প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে সেনা ও উদ্ধারকারীরা৷

Rain hinders Majerhat bridge collapse rescue
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 4, 2018 7:56 pm
  • Updated:September 4, 2018 7:56 pm

অর্ণব আইচ: প্রবল বৃষ্টি ও অন্ধকারে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে মাজেরহাট ব্রিজের উদ্ধারকার্য৷ বিকল্প ব্যবস্থা করে উদ্ধারকার্যে গতি আনার চেষ্টা চলছে৷ ব্যবস্থা করা হয়েছে অত্যাধুনিক আলোর৷ সেই অতি ক্ষমতা সম্পন্ন আলোর মাধ্যমে ব্রিজের নিচের অংশে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন সেনা ও উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা৷ নিয়ে আসা হয়েছে সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও ক্রেন৷ ব্রিজের বড় চাঙড় কেটে ব্রিজের তলায় আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে৷

[একে একে এমার্জেন্সিতে ঢুকছে রক্তাক্ত শরীর, SSKM-এ যুদ্ধকালীন তৎপরতা]

Advertisement

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ প্রবল শব্দে ভেঙে পড়ে মাজেরহাট ব্রিজটি৷ ভাঙার প্রথম ক্ষেত্রে উদ্ধারকার্যে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা৷ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধারকার্যে নামে সেনা, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল৷ প্রথম ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে এসএসকেএম ও সিএমআরআই হাসপাতালে পাঠান হয়৷ কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যা নেমে আসায় বাধাপ্রাপ্ত হয় উদ্ধারকার্য৷ সূত্রের খবর, পুলিশ ও দমকলের কাছে তেমন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় থমকে যায় উদ্ধার কাজ৷ তবে এবারও ত্রাতার ভূমিকায় অবতির্ণ হয় সেনা৷ নিয়ে আসা হয় অতি শক্তিশালী আলো ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি৷ আনা হয় ক্রেন৷ এইসবের সাহায্যেই পুনরায় জোর কদমে শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ৷ ব্রিজের তলায় অনেকে ঘর করে থাকত বলে জানা গিয়েছে৷ ভেঙে পড়া স্ল্যাপ কেটে নিচে আটকে পড়া ব্যক্তিদের বাইরে বের করার চেষ্টা চলছে৷ উপর থেকে শক্তিশালী আলো দিয়ে তলার মানুষদের খোঁজার কাজ চলছে৷ এলাকার আশপাশের সমস্ত হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে৷ হতাহতদের তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য ব্যবস্থা করে হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সের৷ তবে ব্রিজটির বাকি অংশের অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় ঘটনাস্থলে ক্রেন নিয়ে যেতে অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে সূত্রের খবর৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে, ক্রেনের ওজনে ব্রিজের বাকি অংশও ভেঙে পড়তে পারে৷

Advertisement

[আচমকা ভেঙে পড়ল মাঝেরহাট ব্রিজ, বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর আশঙ্কা]

এই ঘটনা আরও একবার রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল বলে মনে করছেন বিরোধীরা৷ ঘটনার সঙ্গে পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার মিল খুঁজে পাচ্ছেন তাঁরা৷ তাঁদের বক্তব্য, সেই সময়ও প্রথম ক্ষেত্রে উদ্ধারকার্যে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি রাজ্যের উদ্ধারকারী দল৷ পরে সেনা পৌছাতে উদ্ধারকাজ গতি পায়৷ এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল বলে তাঁদের বক্তব্য৷ তবে ঘটনাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক৷ কারণ, অত্যন্ত ব্যস্ত সময়ে এমন একটি দুর্ঘটনা ঘটায় এখনও চরম আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন সকলে৷ ২০১৬-র পোস্তা কাণ্ডের দু’বছর পরেই এই ঘটনা আবারও শহরের বাকি ব্রিজগুলির বেহাল অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ