সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহান্তে যাঁদের বিকেলের দিকে ঘুরতে বেরনোর পরিকল্পনা ছিল, তাঁদের সে পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। শনিবারের পর ফের রবিবার। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসকে বাস্তব করে ধেয়ে এল ঝড়। সঙ্গে বৃষ্টিও। ইতিমধ্যেই কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় শুরু হয়ে গিয়েছে বৃষ্টি। পাশাপাশি হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর।
দিন পাঁচেক আগেই প্রকৃতির তাণ্ডব দেখেছিল শহর কলকাতা। প্রবল ঝড় ও বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে গিয়েছিল শহরের বিভিন্ন প্রান্ত। রাস্তার উপর, বাড়িতে গাছ পড়ে রাজ্যে মৃত্যুও হয়েছিল ১৬ জনের। শনিবার ঝড়ের তেজ তেমন ছিল না। তবে বৃষ্টির কারণে মাটি হয়েছিল ইডেন ম্যাচের আনন্দ। বেশ খানিকক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল খেলা। রবিবার বিকেলের ছবিটাও একইরকম। ঝড় এবং সেই সঙ্গে বৃষ্টি নেমেছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে শনি ও রবি দুদিনই ঝড় ও বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছিল। সেই সম্ভাবনাই সত্যি হল। এদিন রাজ্যের একাধিক জেলায় ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় ধেয়ে আসতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। অর্থাৎ কালবৈশাখীর ইঙ্গিতই দিয়েছেন আবহবিদরা।
পরপর দু’দিন ঝড় ও বৃষ্টিপাতের কারণ হিসেবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল তিনটি ঘূর্ণাবর্ত এবং একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছিল। যার জেরে বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়ে। গতকালই বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৬৫ শতাংশ। ফলে পরিস্থিতি অনুকূল হচ্ছিল। আর তার জেরেই টানা দু’দিন বৃষ্টির আস্বাদ পাচ্ছে রাজ্যবাসী। এদিন সকালে শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বৃষ্টির কারণে বিকেলে তাপমাত্রাও খানিকটা নিম্নমুখী। তীব্র গরমে এই বৃষ্টি স্বস্তি দিচ্ছে ঠিকই। তবে কলকাতাবাসীর প্রার্থনা, গতদিনের মতো ফের কাউকে যেন প্রকৃতির রোষের কবলে না পড়তে হয়। ফের যেন বিপর্যস্ত হয়ে না পরে রেল ও সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা। এদিকে, সুন্দরবনে মৎস্যজীবীদের উপকূলে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি দিঘার পর্যটকদের জন্য জারি হয়েছে সতর্কতা। সমুদ্র উপকূল থেকে তাঁদের সরিয়ে আনার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.